নিউজ ডেস্ক: কাজের চাপে খুব হাপিয়ে উঠেছেন? তাহলে দু-তিন দিনের ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন বাংলারই এক অফবিট জায়গায়। নিরিবিলিতে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার আদর্শ জায়গাগুলির তালিকায় এবার যুক্ত হল আরও একটি নাম। বলছি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দক্ষিণ মহুয়াবাড়ি (Jalpaiguri Mahuabari) গ্রামের কথা। সম্প্রতি এখানেই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই গড়ে উঠেছে আনকোরা নতুন এক পর্যটন কেন্দ্র। থাকা, খাওয়া-দাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। সঙ্গে এখানকার খাঁটি গরুর দুধ, পুকুরের মাছের স্বাদও পেতে পারেন। রয়েছে কটেজও। কটেজের একদিকে বাঁশবাগান, অপর দিকে তেজপাতা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য।
এখানের কটেজগুলি যেন ‘বাম্বু হাউস’! পুরোপুরি বাঁশের তৈরি। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বিছানা, চেয়ার-টেবিল সবই বাঁশের। কটেজ সংস্থার কর্ণধার রঞ্জিত রায় পর্যটকদের এখানে আসার আহ্বান জানান। এখানকার পরিবেশ দেখলে পর্যটকেরা মুগ্ধ হবেন বলে তাঁর বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে কটেজ থেকেই উপভোগ করা যাবে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কটেজ থেকেই দেখা মিলবে কাঞ্চনজঙ্ঘার। তাঁর বক্তব্য, এখানে রাত্রিবাস করার ক্ষেত্রে পর্যটকদের কোনো সমস্যা হবে না। ধর্মীয় স্থান-সহ ডুয়ার্সের পাহাড় জঙ্গল ঘুরতে পারবেন তাঁরা।
এছাড়াও মহুয়াবাড়ির (Jalpaiguri Mahuabari) এই জায়গা থেকে ঘুরতে যাওয়া যাবে বৈকণ্ঠপুর জঙ্গলের বোদাগঞ্জের ভ্রামরি দেবীর মন্দির, শিকারপুরে দেবী চৌধুরানীর মন্দির, ভোরের আলো, জল্পেশ মন্দির, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, লাভা-লোলেগাঁও, ন্যাওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যান-সহ বিভিন্ন জায়গায়।
এবার বলে দি কীভাবে পৌঁছবেন এই জায়গায়। এনজেপি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করলে সোজা চলে আসতে পারবেন মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরের এই মহুয়াবাড়িতে (Jalpaiguri Mahuabari)। খরচও খুব সামান্য। চাইলে আবার ময়নাগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করেও আসতে পারেন মহুয়াবাড়ির এই স্থানে। এছাড়াও বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে চার চাকা গাড়িতে করে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার পথ পেরলেই পৌঁছনো যাবে এখানে। আর জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে গাড়িতে মাত্র ২০ কিলোমিটার। তবে, ময়নাগুড়ি স্টেশন থেকে এলে কিছুটা ভাড়া কম হবে। সামনেই পুজোর মরশুম, তাই আর দেরি নয়। ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন মহুয়াবাড়ির উদ্দেশ্যে।