নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের পোল্যান্ড সফর শেষে ইউক্রেনে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে আকাশ পথে নয়, পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে ইউক্রেনে পৌঁছবেন তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ড থেকে দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছবেন মোদি।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের কূটনৈতিক পরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল পথই। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে সব থেকে নিরাপদ পরিবহন ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এই ট্রেনে সফর করেছেন। আসলে ইউক্রেনে যুদ্ধের আবহে বিমানবন্দরগুলো অধিকাংশ সময়ই বন্ধ রাখতে হয়। সড়কপথেও যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ইউক্রেনের বিশ্ব নেতারা এই ট্রেন ভ্রমণকেই বেছে নিয়েছেন সবচেয়ে নিরাপদ পরিবহণ মাধ্যম হিসেবে।
ইউক্রেনিয় রেলওয়ে কোম্পানি ইউক্রজালিজনিতসিয়ার সিইও এই রেলের নাম দিয়েছেন রেল ফোর্স ওয়ান। বিলাস বহুল পর্যটনের জন্য ২০১৪ সালে চালু হয় এই ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। এই ট্রেনের ভিতরে যা রয়েছে তা কোনও বিলাসবহুল বিমানের থেকে কম নয়। বিশেষ ভাবে তৈরি এই ট্রেনে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাই প্রোফাইল যাত্রীর যাত্রা সুখকর করতে রয়েছে নানা সামগ্রী। কাঠের প্যানেল-সহ কেবিনে বিশ্রাম করতে পারবেন যাত্রীরা। বৈঠক করার জন্য রয়েছে প্রশস্ত টেবিল। ট্রেনে সোফা, টিভি ছাড়াও ঘুমনোর জন্য আরামদায়ক বিছানাও রয়েছে।
এর আগে ক্রিমিয়ায় যাতায়াতের জন্য এই ট্রেন তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করলে এই ট্রেনগুলি যুদ্ধের সময় ভিআইপি-দের পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ট্রেনে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের বদলে রয়েছে ডিজেল ইঞ্জিন। এই ট্রেন পথ ‘আইরন কূটনীতির’ অংশ। ইউক্রেন পরিচালিত এই ট্রেনে বিশ্বনেতারা সওয়ার হয়ে ইউক্রেনের প্রতি নিজেদের সহমর্মিতা দেখান।