নিউজ ডেস্ক: আবারও রাস্তায় জমা জলে মিলল মহিলার দেহ। হাওড়ার পর এবার বারাসত। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের দক্ষিণ নারায়ণ কোকো বাগান এলাকায়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বারাসত (Barasat Incident) থানার পুলিশ।
এদিন রাত ১০ নাগাদ অঞ্জনা বিশ্বাস নামে ওই মহিলা কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে। সেই সময়ই এই ঘটনা ঘটে। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করে তাঁরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পান। এলাকার লোকজন বেরিয়ে দেখেন, জলের মধ্যে পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। বিদ্যুতের তার দেখে তাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এর পরে স্থানীয়রা বারাসত থানার পুলিশকে খবর দেন। কিছু ক্ষণ পরেই পুলিশ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, অঞ্জনা একটি বেসরকারি স্কুলে কর্মরতা ছিলেন। সেখান থেকেঈ এদিন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
তবে এই ঘটনায় এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, বৃষ্টির মধ্যে জনবসতি পূর্ণ এলাকায় কী ভাবে বিদ্যুতের তার খোলা অবস্থায় পড়েছিল? ঘটনায় পুর প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ”তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ দফতরকে এই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারাসত থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটিকে পাঠানো হয়েছে বারাসত (Barasat Incident) হাসপাতালের মর্গে।
তবে এমন ঘটনা প্রথম নয়। দুর্যোগের জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এর আগে। তাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু এড়াতে এবার নিজেকেই সাবধান হতে হবে। রাস্তায় জমা জলে হাঁটা এড়িয়ে চলুন। কোনও তার ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখলে ধার-পাশ দিয়ে যাবেন না। কোনও ঝুলন্ত তার থাকলে হাত দেবেন না। এছাড়া কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে, সেই ব্যক্তিকে পায়ে স্যান্ডেল পরে, শুকনো কাঠের টুকরো, বাঁশ, বা লাঠি দিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে আলাদা করতে হবে।