নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছে অন্যতম একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়াবহ বন্যা (Bangladesh Flood) পরিস্থিতি। বিধ্বংসী বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশের বন্যা প্রসঙ্গে মন্তব্য করল ভারত।
আসলে বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে ভারতের ওপর। যদিও ভারতের তরফে বারংবারই একটা দাবি করা হয়েছে, এটি ভারতের একার সিদ্ধান্ত নয়, প্রতিবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেই জল ছাড়া হয়েছে।
আর এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবারের পর সোমবারও কেন্দ্রের তরফে আরেকটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলেন, ”বর্ষায় বৃষ্টি হলে নদীর জলস্তর এমনই বাড়তে থাকে। আর এটাও মনে রাখতে হবে এটা ড্যাম নয়, ব্যারেজ। দুই নদীতে জলস্তর ঠিক রাখতেই ফরাক্কার বিশাল কাজ থাকে। আর প্রোটোকল মেনেই বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে ডেটা জানিয়ে উদ্বেগও জানান হয়। প্রতি বছরই তা করা হয়, এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভয়াবহ এই বন্যায় (Bangladesh Flood) ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে ১১টি জেলা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। তবে ভয়াবহ বন্যার কয়েকদিন পর বাংলাদেশের নিচু এলাকায় জল কিছুটা কমছে। তারপরও ঘরছাড়া রয়েছেন বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের নদ-নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ”ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ার খবরটি আমাদের জন্য বিপজ্জনক। এর ফলে এবার দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোও প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”