নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। একইসঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যদিও জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল উপেক্ষা করে নবান্নর পথে এগোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের দাবিতে অনড় প্রতিবাদীরা। তাঁদের দাবি— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিন হাওড়ার ফোরশোর রোডে উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। লাঠি চালায় পুলিশ। জলকামান ব্যবহার করা হয়। তারইমধ্যে পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডেও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। তারইমধ্যে ধর্মতলা থেকে একটি মিছিল (Nabanna Abhijan) হাওড়ার দিকে যাচ্ছে। তাতে ‘মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার’ দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি হেস্টিংসের কাছেও চলল জলকামান। কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের (পিটিএস) কাছে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে গোটা শহর জুড়ে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থতি তৈরি হয়েছে।
জল কামান প্রয়োগ করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এমন কি লাঠিচার্জ করেও কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ৷ জলকামানের জল একাধিক বার শেষ হয়ে গেলেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা যায়নি৷ এমন কি, একা পুলিশকর্মীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভকারীরা মারছেন, এমন ছবিও এ দিন ধরা পড়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে এ দিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিকে অরাজনৈতিক বলে দাবি করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এর পিছনে রাজনৈতিক উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত এ দিনের বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপই নিল৷