নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিকূলতা তাঁর ইচ্ছেশক্তিকে কখনও খর্ব করতে পারেনি। যাঁর একটা হাত কনুই পর্যন্ত। রয়েছে শারীরিক সীমাবদ্ধতা। তবে স্বপ্ন দেখা থামেনি সাহসী কন্যার। আর্থিক বাধাও তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সেই আমিশা রাওয়াতই (Amisha Rawat) এবার প্যারালিম্পিক্সে মহিলাদের শট পাট এফ ৪৬ বিভাগে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেছেন, ”আমার পথে প্রচুর বাধা ছিল। আমার পরিবারকে অভাবের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। বাড়ির কাছে একটা ছোট বাগানে প্র্যাক্টিস করতাম। দৌড়, লং জাম্পের মতো একাধিক ইভেন্টে অংশ নিতাম। কোনও প্রশিক্ষক ছিল না। যেটুকু শিখেছি, ইউ টিউবের সৌজন্যে।” অর্থাৎ প্রবল ইচ্ছাশক্তির জেরেই আজ সাফল্যের শিখরে দাঁড়িয়ে আমিশা।
নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আমিশা (Amisha Rawat)। বাড়ি রুদ্রপ্রয়াগে। পাহাড়ি সেই শহর থেকেই উত্থান আমিশার।
স্কুলে আমিশার ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের শিক্ষক অনিল কান্দওয়াল প্রথম উপলব্ধি করেন, সঠিক পরিচর্যা হলে এ মেয়ে অনেক দূর যাবে। তাঁর কথাতেই উত্তরাখণ্ডের রাজ্য প্যারা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন আমিশা। সেখানে ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতেন। আমিশার পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হন উত্তরাখণ্ডের প্যারা স্পোর্টস সংস্থার সচিব প্রেম কুমার। এরপর জাতীয় প্যারা দলে সুযোগ পাওয়া প্রেম কুমারের উদ্যোগে। তবে পেশাদার কোচের অভাবে আমিশার প্রস্তুতি বিঘ্নিত হয়।
এরপর নানা ঘাত প্রতিঘাত কাটিয়ে করোনাকাল অতিবাহিত হতেই নতুন উদ্যমে প্রস্তুতি শুরু করে আমিশা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি দিল্লিতে রাকেশ যাদবের কোচিংয়ে শট পাট শুরু করেন। সেখান থেকেই আজ প্যারালিম্পিক্সে মহিলাদের শট পাট এফ ৪৬ বিভাগে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। প্যারিসে জাতীয় পতাকা ওড়ানোই স্বপ্ন আমিশার।