নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কায় সত্যি হল। স্বাস্থ্য দফতরের চিঠি নিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়ে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আরজি করের (RG Kar Incident) চেস্ট মেডিসিনের বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে যে ক’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের মধ্যে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী অন্যতম ৷ ওই ঘটনায় জনরোষের আঁচ পেয়ে বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁকেও তড়িঘড়ি বদলি করে দেওয়া হয়৷ ৩১ অগস্টের মধ্যে অরুণাভকে মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর৷ ওই নির্দেশিকা জারির পর থেকেই অরুণাভর কোনও খোঁজ মিলছিল না৷
অবশেষে এ দিন তিনি মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দিতে আসেন৷
কিন্তু এদিন অরুণাভকে দেখে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মালদহ মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। তাদের সাফ কথা, ‘ওনার বিরুদ্ধে এক ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় (RG Kar Incident) নানা অভিযোগ সামনে আসছে। এই ধরনের অভিযোগ থাকা অধ্যাপক-চিকিৎসক এখানে এলে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। আমরা কোনও অবস্থাতেই ওনাকে মেনে নেব না।’ ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যালে চলে আসে স্থানীয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ বাহিনী৷ পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্র বিক্ষোভ বড়সড় আকার নিতে পারেনি৷
যদিও অধ্যাপকের এই বদলির বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল মালদহ মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। সেদিন থেকেই তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। পড়ুয়ারা এদিনও সাফ জানিয়েছেন, ‘জেলার মেডিক্যাল কলেজ মানে তো ডাস্টবিন নয়, যে যাঁকে তাঁকে এখানে পাঠিয়ে দেবে আর আমরা মেনে নেব।’ আর পড়ুয়াদের এই কথাতে বোঝাই গিয়েছিল আরজি করের ওই অধ্যাপকের কাজে যোগ দেওয়া খুব সহজ হবে না। বৃহস্পতিবার সেই প্রমাণই মিলল।
এ ব্যাপারে মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে এব্যাপারে আরজি করের চেস্ট মেডিসিনের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।