নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২২ বছর হয়ে গেল বীরপাড়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছেন জয়ব্রত ভট্টাচার্য। তবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল পুলিশের চাকরি দিয়ে। পরে স্কুল সার্ভিস কমিশনে বসে, শিক্ষক হন। বর্তমানে বীরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ব্রত ভট্টাচার্য। প্রায় দু’দশক ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য এবার তিনিই আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে শিক্ষারত্ন (Siksha Ratna Award) সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
তাঁর এই সম্মানে খুশি তাঁর সহকর্মীরাও। বীরপাড়া হাইস্কুলেরই শিক্ষিকা শিক্ষিকা সুভদ্রা সোরেনের কথায়, তাঁদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই সম্মান (Siksha Ratna Award) পাচ্ছেন, তাতে তাঁরাও গর্বিত। সুভদ্রা সোরেন বলেন, “উনি এই সম্মানের যোগ্য অধিকারী। ওনার অক্লান্ত পরিশ্রম আমরা দেখি। বীরপাড়া হাইস্কুলকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে ওনার অবদান না বললেই নয়। আমরা সবসময় আমাদের প্রধান শিক্ষকের সৈনিক হিসাবে কাজ করব। আমাদের লক্ষ্য একটাই, স্কুলের উন্নতি।”
জানা গিয়েছে, ১৯৯৯ সালে রাজ্য পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগ দেন জয়ব্রত ভট্টাচার্য। এরইমধ্যে এসএসসিতে বসেন, পাশও করেন। এরপরই পুলিশের চাকরি ছেড়ে স্কুলে পড়ানো শুরু করেন। আসলে শিক্ষকতার প্রতি প্রথম থেকেই তাঁর একটা আবেগ ছিল। তাই সুযোগ আসার পর তা তিনি ছাড়েননি। কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে আজ অব্ধি স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে তিনি নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছেন। আসলে বীরপাড়া চা বলয়ের মধ্যে পড়ে। তাই স্বভাবতই চা বলয়ের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তোলাটাই তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ। যেহেতু আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া এলাকায় রয়েছে প্রচুর চা বাগান তাই সব ক’টি এলাকাই প্রত্যন্ত। সেখানে সরকারি স্কুল বলতে শুধু বীরপাড়া হাই স্কুল। কোনও চা বাগান বন্ধ হলে সেখানকার শিক্ষা থমকে যায়। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেই এতদিন ধরে পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে আসছেন এই শিক্ষক।
এ প্রসঙ্গে জয়ব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “ইমেলে আমাকে জানানো হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য আনন্দের। আমার ২২-২৩ বছরের শিক্ষক জীবনে যেটুকু অবদান আমার ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রাখতে পেরেছি, সেটার স্বীকৃতি (Siksha Ratna Award) হিসাবেই আমি এটাকে দেখছি। এই স্বীকৃতি আমার একার না, সমগ্র সমাজের।”