নিউজ ডেস্ক: কেটে গিয়েছে ২৪টা দিন, আসেনি সুবিচার। তাই আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ দেশের বিশিষ্টজনদের চিঠি লিখলেন আরজি করে (RG Kar Incident) নিহত চিকিৎসকের মা। মৃতার পরিবার সূত্রের খবর, ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে গত শনিবার। কয়েকটি জায়গায় পাঠানো হয়েছিল মেলে, কয়েকটি গিয়েছিল পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।
‘রাতে ঘুম হয়না’, বলছেন নির্যাতিতার মা। একইসঙ্গে তিনি বলছেন,”সারা রাত শুয়ে শুয়ে ভাবি কী থেকে কী হয়ে গেল, মনের কথাটা কাকে লিখতে পারি! সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে তাই এই চিঠি লিখেছি।” অন্যদিকে চোখের জল সামলে নির্যাতিতার বাবা (RG Kar Incident) বলেন, “যেভাবে প্রথম থেকে সবটা হয়েছে, তাতে আমাদের সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কোনওভাবেই একজনের পক্ষে আমার মেয়েকে এভাবে খুন করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করি না। পুলিশের ওপর বিশ্বাস রেখেই এগিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের বাড়ি এসে আশ্বাস দিয়ে যান। আমরা তাঁর বিরোধী নই। কিন্তু বিচার চাই। যেভাবে পুলিশ সবটা সাজাচ্ছিল, সেটা বুঝতে পেরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। ভালো কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক, আর্জি জানিয়েছিলাম। আদালত সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে।” মৃতার মা-বাবার একটাই দাবি, “দুর্নীতির বলি হয়েছে মেয়ে। আরও যারা জড়িত আছে, তারাও গ্রেফতার হোক। যেদিন এদের সবার ফাঁসি হবে, সেদিন মনের আশা কিছুটা পূরণ হবে।”
একইসঙ্গে মৃতার মা বলেন, “সারা জীবন ধরে কষ্ট করে যা করেছিলাম, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার মনের কথাটা পড়ে যদি অন্তত দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা হয়, সেই আশা নিয়েই এই চিঠি লিখে পাঠিয়েছি। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই, রাজনীতির অঙ্গও হতে চাই না। শুধু বিচার চাই।” তিনি বলেন, “মেয়ের দেহ দেখে আমাদের মনে হয়, পুরো ঘটনাটা সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের দেখানো হচ্ছে। কারণ এমন পৈশাচিক ঘটনার পরে সব কিছু এমন সাজানো থাকতে পারে না। অপরাধ যেখানে হয়েছে, সেই জায়গাও ঘেরা ছিল না।”
প্রসঙ্গত, ২০ দিনের বেশি সময় কেটে গিয়েছে, আরজি করের (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর। তবে এখনও দোষীর সাজা হয়নি। এই মৃত্যুতে রয়েছে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ। এই মৃত্যু ঘিরে নানান প্রশ্নও রয়েছে। আর বহু প্রশ্ন ঘিরে রয়ে যাচ্ছে রহস্য। এরই মাঝে এবার নির্যাতিতার পরিবার দ্বারস্থ হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ বিশিষ্ট জনের কাছে। আশা একটাই, ন্যায় বিচারের।