নিউজ ডেস্ক: আবারও পিছিয়ে গেল কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) নতুন ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-র (Emergency) মুক্তির তারিখ। ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখে। তবে শোনা যাচ্ছে, এই ছবি নির্দিষ্ট দিনে মুক্তি পাবে না। মনে করা হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি ও বিতর্কের কথা মাথায় রেখেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ছবির মুক্তি। এই ছবিকে ঘিরে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে চূড়ান্ত বিতর্ক ও বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ছবির ট্রেলার দেখেই অশান্ত হয়েছিল পঞ্জাব। আর এই ছবিটি এখনও সেন্সর বোর্ডের কাছ থেকে সবুজ সংকেতও পায়নি। মনে করা হচ্ছে, এই ছবিতে আরও একাধিক দৃশ্য বাদ দেওয়ার নিদান দিতে পারে সেন্ট্রাল বোর্ড।
কঙ্গনা রনৌতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ (Emergency) আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে কি না এবং সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেট পাবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর। বোম্বে হাইকোর্টে শুনানির সময় এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ‘ইমার্জেন্সি’ সহ-প্রযোজক সংস্থা জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস ছবিটি মুক্তি এবং সেন্সর সার্টিফিকেটের দাবিতে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। দাখিল করা আবেদনে সংস্থাটি দাবি করেছে যে সেন্সর বোর্ড নির্বিচারে ও বেআইনিভাবে ছবিটির সেন্সর সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে।
ছবিটি নিয়ে পাঞ্জাবে বিক্ষোভ চলছে এবং শিখ সংগঠনগুলি এটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। বিতর্কের কারণে ছবিটির মুক্তিও স্থগিত করা হয়েছে।
এই সিনেমটি (Emergency) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। আর ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রনৌত। এমনকী ছবির পরিচালকও তিনি। তবে শিরোমণি আকালি দল-সহ শিখ সংগঠনগুলি সিনেমাটির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে শিখদের অনুভূতিতে আঘাত করার এবং তাদের একটি ভুল ভাবে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে আগেই কঙ্গনা রানাউত জানিয়েছিলেন, তিনি ছবিটিকে (Emergency) বাঁচানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতেও রাজি। তিনি বলেছিলেন যে ইন্দিরা গান্ধীর জীবনকে পর্দায় তুলে ধরতে গিয়ে যদি পাঞ্জাব রায়টই না দেখাতে পারি তাহলে তো ওঁর জীবনটাই অধরা থেকে যাবে।