নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar incident Impact) জের। কলকাতায় নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, তখন পুলিশের তরফ থেকে দেওয়া চাকরি প্রত্যাখ্যান করলেন প্রয়াত সৌরভবাবুর স্ত্রী ঝর্ণা দত্ত।
জানা গিয়েছে, ঝর্ণা দত্তের স্বামী সৌরভ দত্ত কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ছিলেন। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। সৌরভের মৃত্যুর পর কলকাতা পুলিশে ঝর্ণাকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু ঝর্ণা সেই চাকরি নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। তবে অনুরোধ করেন, মেয়ে স্নিগ্ধার জন্য চাকরিটি যদি সংরক্ষিত রাখা যায়। কলকাতা পুলিশের তরফে ঝর্ণাকে তা আশ্বস্তও করা হয়েছিল। কিন্তু তিলোত্তমার মৃত্যু ঝর্ণা ও তাঁর মেয়ে স্নিগ্ধাকে এতটাই নাড়া দেয় যে তিনি সিদ্ধান্ত বদল (RG Kar incident Impact) করেন।
এ প্রসঙ্গে ঝর্ণা দত্ত বলেছেন, ”আমি আগেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছি। মেয়ের জন্য সংরক্ষিত রাখার অনুরোধ করেছিলাম। ভেবেছিলাম মেয়ে সাবালক হয়ে বাবার চাকরি করবে। কিন্তু চলতি আবহে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলাম। নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে মেয়েকে কলকাতা পুলিশে চাকরি করতে পাঠাতে পারব না। পুলিশের উর্দিকে আমি সম্মান করতাম। এই উর্দি ছিল আমাদের পরিবারের তীর্থস্থান। আমাদের অন্ন জোগাত এই উর্দি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে উর্দি পরিষ্কার করতাম। তাতে এখন কালো দাগ লেগেছে। এখানে মেয়েকে চাকরি করতে পাঠাতে পারব না।”
আসলে সাহস সংক্রামক। তাই যেন আবারও প্রমাণ করলেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রয়াত সৌরভ দত্তর স্ত্রী ঝর্ণা। তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন আরজি কর কাণ্ডের জেরেই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। ঝর্ণার দাবি, আত্মহত্যা বলে সৌরভের মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা ছিল তা আজও জানা যায়নি। আর আর জি করের ঘটনাও (RG Kar incident Impact) তো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। ঝর্ণার কথায়, ‘আরজি করের মতো ঘটনা আর যাতে না-ঘটে, বরং সেই চেষ্টাই করা হোক।’