নিউজ ডেস্ক: আরকি কর কাণ্ডে নয়া মোড়। ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ বা ঘটনাস্থল সম্পর্কিত নতুন তথ্য প্রকাশ্য। নির্যাতিতার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরে পরেই সংস্কারের নামে ভেঙে ফেলা হয়েছিল আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালেরে সেমিনার হল লাগোয়া ঘর। এই হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল বছর একত্রিশের মহিলা চিকিৎসকের দেহ। মেডিক্যাল কলেজের চারতলার এই সেমিনার হলটাই এই মামলার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও এই সেমিনার হল। এবার প্রকাশ্যে এল, ঠিক কার নির্দেশে সংস্কারের নামে সেমিনার হল লাগোয়া রুম ভেঙে ফেলা হয়। জানা গিয়েছে সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে পিডাব্লুডি-কে লেখা পারমিশন লেটার। সেখানে চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম-শৌচাগার ভাঙার নির্দেশনামায় সই রয়েছে সন্দীপের। আর নির্দেশনামা ১০ অগাস্টের। তিলোত্তমা খুন হন ৮ অগাস্ট মধ্যরাতে। তাহলে কীভাবে এত বড় ঘটনার পর ভাঙার নির্দেশ? আদালতে ইতিমধ্যেই বিষয়টির উল্লেখ করেছে সিবিআই।
নির্দেশনামায় উল্লেখ করা রয়েছে, ১০ অগাস্ট প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতো নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও নির্দেশনামার বয়ান এমনভাবে রয়েছে, যাতে সন্দীপ ঘোষ বন্দুক রাখছেন স্বাস্থ্যভবনের কাঁধেই।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় (RG Kar Incident) প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাস্থল। আইনের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘প্লেস অফ অকারেন্স’। এই ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ কেন দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হল, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। সিবিআই যেদিন এই মামলার দায়িত্বভার হাতে পায়, তার ঠিক আগে আগেই ভাঙা হয় এই হল লাগোয়া রুম। তা নিয়েও ওঠে হাজারো প্রশ্ন। কার নির্দেশে হলের লাগোয়া ঘরটি ভাঙা হয়েছিল, ওঠে সে প্রশ্নও। সেই প্রশ্নেরই জবাব মিলল, এতদিন পর।