নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবারই বিধানসভায় পাশ হয়েছে ধর্ষণ-বিরোধী বিল ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ (Aparajita Bill 2024)। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী তা গিয়েছে রাজভবনে। বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ না-থাকায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সেই বিলে সম্মতি দিতে পারছিলেন না বলে জানা গিয়েছিল। তবে শুক্রবারই সেই রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন। তার পরেই সেই বিল বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
গতকাল এক্স হ্যান্ডলে এই বিল নিয়ে রাজভবনের মিডিয়া সেলের তরফে একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোষ্টে বলা হয়, শুক্রবার মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি রাজভবনে গিয়েছিলেন। তারপরই রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয় টেকনিক্যাল রিপোর্ট। তা খতিয়ে দেখে বিলটি (Aparajita Bill 2024) রাষ্ট্রপতি কাছে পাঠিয়ে দেয় রাজভবন।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিলটি (Aparajita Bill 2024) পাশ করাতে তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে রাজ্য। বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে, যা সংশোধন করা প্রয়োজন। রাজ্যপাল সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করে কাজ করবেন না, নইলে পরে অনুতপ্ত হবেন।’’ রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিলটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত জনগণ অপেক্ষা করতে পারে না। তারা ন্যায়বিচার চায় এবং বিদ্যমান আইনের কাঠামোর মধ্যে তাদের ন্যায়বিচার দিতে হবে। সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিলেই জনগণ ন্যায়বিচার পাবে। কন্যাকে হারানো শোকাহত মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।
প্রসঙ্গত, বিলটিতে (Aparajita Bill 2024) দেশের ধর্ষণ সংক্রান্ত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে কড়া শাস্তি দেওয়া যায়। রাজ্যপাল বিলট সই করলেই আইনে পরিণত হত। এখন রাষ্ট্রপতি বিল নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেন সেটাই দেখার। রাষ্ট্রপতি সই করলে তবে এই বিল আইনে পরিণত হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি বিলটিতে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু এবার রাজভবনের আপত্তি ওঠায় বিলের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেইসময় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজভবনে। আশা করব উনি দ্রুত তা স্বাক্ষর করে বিলটি রাষ্ট্রপতিকে পাঠাবেন।” তারপরই মুখ্যসচিবকে টেকনিক্যাল রিপোর্ট রাজভবনে পাঠায় রাজ্য প্রশাসন।