নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকদের লাগাতার চাপের মুখে অবশেষে সন্দীপ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) শো-কজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সঙ্গে সাসপেন্ড হলেন তাঁর গ্যাংয়ের তিন সদস্য অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও মুস্তাফিজুর রহামান। এদের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
কেন সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, এই প্রশ্ন তুলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল শো-কজ করেছে তাঁকে। রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার আগে শো-কজ করা বাধ্যতামূলক। সন্দীপ ঘোষকে শো-কজ করার পর ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা হবে। তিনি যদি উত্তর না দেন বা সন্তোষজনক জবাব না দেন সেক্ষেত্রে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে যতদিন পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ক্লিনচিট পান।
অন্যদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পিনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। একই কমিটির সদস্য ছিলেন মুস্তাফিজুরও। আপাতত কাউন্সিলের (West Bengal Medical Council) কোনও মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগে এর আগে গত ৫ তারিখ স্বাস্থ্য ভবন সাসপেন্ড করে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। দুই বিতর্কিত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের দিন আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে হাজির ছিলেন বিরূপাক্ষ ও অভীক। বিরূপাক্ষ ও অভীকের বিরুদ্ধে শাসানি, ভয় দেখানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে সিবিআই-এর সঙ্গে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডিও। শুক্রবারও সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরে এবার আরও বিপাকে সন্দীপ। গ্রেফতারির পর বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। ফলে তিনি কী ভাবে শো-কজের জবাব দেবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।