নিউজ ডেস্ক: কেটে গিয়েছে গোটা একটা মাস। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর প্রতিবাদে তোলপাড় রাজ্য। গতকাল রাত দখল কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। আজ ওই মামলা উঠছে সুপ্রিম কোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলার প্রতিবাদী মানুষজন। এরআগে গত ৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির কথা ছিল। সে দিন প্রধান বিচারপতি উপস্থিত থাকতে না পারায় শুনানি পিছিয়ে যায়। তাই আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। ফলে এখনওপর্যন্ত তদন্তে কী উঠে এসেছে তা স্পষ্ট হবে আদালতের কাছে। এরপর শীর্ষ আদালত কী নির্দেশ দেবে তাও জানা যাবে। মামলাটির শুনানি (RG Kar Hearing) হবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে।
একমাস পর শুনানি (RG Kar Hearing) হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। পাশাপাশি চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল শীর্ষ। আজ সেই বিষয়টি আবারও উঠে আসতে পারে। আরজি করে হামলার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেখানে মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে ৩৭ পাতার লিখিত আবেদনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে। সেখানে বলা হয়েছে আরজি করে মোতায়েন সিআইএসএফকে থাকতে হচ্ছে শহরের বাইরে। আরজি করে তাদের খাওয়া থাকার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনও ঘটনা ঘটে গেলে শহরের বাইরে থেকে হাসপাতালে আসতে তাদের অনেকটাই সময় লেগে যাবে। এই বিষয়টিও আজ শুনানিতে উঠতে পারে।
অন্যদিকে সোমবার সুপ্রিম শুনানির (RG Kar Hearing) আগেও বিনিদ্র রাত কাটালেন নাগরিকেরা। সুপ্রিম গোটা দেশের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি শহরে বিচার চেয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যাদবপুর, শ্যামবাজার, গড়িয়া, লেকটাউন, সোদপুর, বারাকপুর থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ, কোচবিহার সহ সারা রাজ্যে এই একই ছবি দেখা গিয়েছে। একইসঙ্গে সোমবার শিলিগুড়িতে করা হয় ভোর দখল কর্মসূচি। মর্মান্তিক ঘটনার একমাস অতিক্রান্ত হলেও জনগণের প্রতিবাদ যে এতটুকু কমেনি তা এই কর্মসূচিগুলিতেই বোঝা যাচ্ছে। কোথাও মশাল, কোথাও মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট, গানে-কবিতায়-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলকাতা থেকে জেলা। বিকেলে ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা দুজনে বক্তব্য রাখেন। এখানেই নির্যাতিতার বাবা জানান, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ আর নয়, এ বার স্লোগান হোক ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’।