নিউজ ডেস্ক: আজ, ৯ সেপ্টেম্বর। ঠিক এক মাস আগে গত ৯ অগস্ট আরজি কর (RG Kar Protest) হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসকের দেহ। এক মাস পরও সেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। বিচারের দাবি নিয়ে প্রায় প্রতিদিন রাজপথে নামছেন সাধারণ মানুষ। আর এই আবহেই সুপ্রিম কোর্টে চলছে আরজি কর মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামিকালের মধ্যে ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। তাঁদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা জেনে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কড়া নির্দেশ, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে হাসপাতালে কাজে ফিরতে হবে। যদিও তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
গত ৯ অগাস্ট আরজি করের (RG Kar Protest) তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। আরজি করের সামনে চলছে অবস্থানও। রাজ্য সরকারের তরফে বারবার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালেও জুনিয়ার ডাক্তাররা কাজে ফেরেননি। এদিন শুনানিতে সেই প্রসঙ্গ উঠলে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানায়, অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জুনিয়ার ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এরপরও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না। বাস্তব পরিস্থিতি কী চলেছে আমরা সবাই জানি। কিন্তু ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। চিকিৎসকদের প্রধান কাজ চিকিৎসা করা। তাঁদের নিরাপত্তার নির্দেশ আমরা দিয়েছি। তাঁরা কাজে যোগ না দিলে আমরা প্রত্যেককে নোটিশ দেব।’
এ প্রসঙ্গে এদিন শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেন, ”চিকিৎসা না পেয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। কারণ, সরকারি হাসপাতাল মেডিকেল কলেজগুলিতে কাছ করছেন না ডাক্তাররা। সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্ক মাথা তুলেছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” এই বিষয়টি নিয়েও এদিন সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কপিল সিব্বাল।