নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশের পরেও ফের আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের। মঙ্গলবার জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবন অভিযান করবেন। পাঁচ দফা দাবির পাশাপাশি এবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফা চাইলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এই পাঁচ দফা দাবিগুলি হল— আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar Incident) কলেজের পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যাঁরা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।
আরজি কর ইসুতে (RG Kar Incident) ক্রমশই ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্য আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ঠিক এই আবহে আজ মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত ৯ অগাস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তীব্র আন্দোলন তৈরি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিচারের দাবিতে তাঁরা পথে নেমেছেন। এর আগে লালবাজারের অভিযানও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালের সামনে ১ মাস ধরেই চলছে লাগাতার অবস্থান। আর এরই মধ্যে ফের আজ, মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবন অভিযান করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তবে সহকর্মীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার সুবিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বা ভবিষ্যতের যা নেবেন, সব কিছুকে নিঃশর্ত সমর্থন দেবে আইএমএ-র রাজ্য শাখা। বিবৃতিতে তাদের আরও বক্তব্য, কর্মবিরতির জেরে হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠছে, শীর্ষ আদালতে যে তথ্য পেশ করা হচ্ছে, তা ভুল। কারণ, একদল আন্দোলন করলেও বাকিরা স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটতে দেননি। এখনও যাঁরা আন্দোলনে থাকবেন, তাঁদের পাশে থেকে পরিষেবা দিয়ে যাবেন অন্যান্য চিকিৎসকরা। বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্যরা।