নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পুজোর অনুদান দেওয়া হবে বলে সোমবারই নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে অনুদান (Durga Puja Donation) দেওয়ার আগেই আরও দুই পুজো কমিটি জানিয়ে দিল, তারা অনুদান নেবে না। আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয়ে রয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ সারাদেশ। ‘বিচার চাই, বিচার দাও’ এই স্লোগানে মুহুর্মুহু ধ্বনিত হচ্ছে কলকাতার রাজপথ। দফায় দফায় রাতদখলে নামছে মানুষ। নানাভাবে নিজেদের প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তারা। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে টলিপাড়ার কলাকুশলীরা, বাদ যাননি কেউ। আর এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিভিন্ন ক্লাব। এর আগে অনেকেই পুজোয় সরকারি অনুদান ফিরিয়েছে। আজ আবারও সেই তালিকায় নাম লেখালো খাস কলকাতার আরও দুই ক্লাব।
সরকারের দেওয়া অনুদান (Durga Puja Donation) গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে টালিগঞ্জের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিনগর বাস্তুহারা সমিতির নেতাজিনগর দুর্গোৎসব কমিটি। সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। অন্যদিকে বেহালা চৌরাস্তা সবেদাবাগান ক্লাবও জানিয়ে দিয়েছে তারা সরকারি অনুদান নেবে না। পুজোতে বাজবে না গান, কোনও অতিরিক্ত আড়ম্বর নয়। এই পুজো কমিটিরও দাবি, বিচার চাই।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের একাংশ। এই আবহে প্রতিবাদ স্বরূপ বিভিন্ন ক্লাবের পুজো কমিটিগুলি পুজোর অনুদান (Durga Puja Donation) ফিরিয়ে নেবার পদক্ষেপ নিয়েছে। অনেকেই আবার ঠিক করেছে বিচার না পাওয়া পর্যন্ত অশৌচ পালন করবে তারা। দেবে না পুজোর চাঁদা, কিনবেন নতুন জামাকাপড়। এ প্রসঙ্গে সোমবার, রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বসে প্রথমে পুজো কমিটিগুলির সম্বন্ধেই কথা বলেছেন। নবান্নে আয়োজিত এই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন যে যেসব পুজো কমিটি অনুদান নিতে চায় না, তাদের বাদ দিয়ে সেই অনুদান অন্য পুজো কমিটিগুলিকে দিয়ে দেওয়া হোক।
যদিও নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, আরও বেশ কিছু পুজো কমিটি অনুদানের (Durga Puja Donation) আবেদন করেছে। প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এই অনুদানে। তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকেই টাকা দেওয়া শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “কেউ যদি না নেয় তাহলে তাঁদের নিজেদের পুজো করার ক্ষমতা আছে। তাঁদের স্বাগত।” তিনি আরও বলেন যে, “শোক ভুলে সবাই পুজোর আনন্দে সামিল হন। এইবার পুজো কমিটির এক্সট্রা কিছু অনুরোধ আছে। যতটা সম্ভব করেছি।”