নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এখনও কাজে ফেরেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ তাদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের দ্বিতীয় দিন। আর তার আগে রাতভর স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে থাকলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। চোখে-মুখে ক্লান্তি থাকলেও নিজেদের বিশ্বাসে অনড় তাঁরা। বৃষ্টিও তাঁদের টলাতে পারেনি তাদের। রাত পেরিয়ে ভোরবেলাতেও স্বাস্থ্য ভবনের বাইরেই বসে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট কথা, যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ না করা হবে, অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ (RG Kar Protest) চলতে থাকবে।
এদিন স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থান থেকে দাবি উঠেছে ‘বিচার পাবে অভয়া, তবেই হবে মহালয়া। সেইসঙ্গে বাড়ছে আন্দোলনের (RG Kar Protest) ঝাঁঝও. জুনিয়র ডাক্তাররা যে পিছু হটছেন না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ম্যারাথন অবস্থানের জন্য তৈরি জুনিয়র ডাক্তাররা। এ প্রসঙ্গে এক সিনিয়র ডাক্তার দাবি করেন, মঙ্গলবার যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের, তাতে কোথাও বলা হয়নি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করবেন। জুনিয়র ডাক্তাররা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটার প্রতি সমর্থন আছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে (RG Kar Protest) এসে সামিল হন আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা। তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন বলেই আজ তাঁরা জোর পাচ্ছেন। এখন যে কথাগুলো বলছেন, সেটা বলার সাহস পাচ্ছেন তাঁদের জন্য। এরপর তিনি বলেন, ”রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”
একইসঙ্গে নির্যাতিতার মা বলেন, “আজ এই মধ্যরাতে আমার ছেলেমেয়েগুলো রাস্তায় বসে রয়েছে। তাই ঘরে থাকতে পারলাম না। চলে এলাম তোমাদের মঞ্চে। আসার সময় দেখলাম, তোমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে রুটি খাচ্ছো। প্রশাসন তোমাদের কোথায় নামিয়েছে। ডাক্তারদের মানুষ ভগবান মনে করে। তাঁদেরকে রাস্তায় দিন রাত কাটাতে হচ্ছে। এটা তো খুব লজ্জার।”
উল্লেখ্য, লালবাজারের সামনে দিন কয়েক আগেই ২২ ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের মিছিল ৫০০ মিটার আগেই আটকে দেয়। সারা রাত রাস্তায় বসেছিলেন তাঁরা। তার পর তাঁদের দাবি মেনে ব্যারিকেড সরিয়েছিল পুলিশ। আর এবার সে দিনের সেই অবস্থানের ছবি ফিরল স্বাস্থ্য ভবনের সামনে।