নিউজ ডেস্ক: ক্ষত সারাতে শুধুমাত্র ড্রেসিং গজ বা অ্যান্টিবায়োটিক-এর ওপর আর নির্ভরশীলতা নয়। নতুন পদ্ধতিতে (Medical Experiment) ক্ষত সারানোর উদ্যোগ চিকিৎসাশাস্ত্রে। বিশেষ এক ধরনের প্যাড ব্যবহারের মাধ্যমেই সারিয়ে তোলা হবে ক্ষত। যা ‘সিলভার ড্রেসিং প্যাড’ বলে জানা গিয়েছে। এ রাজ্যের এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ-সহ দেশের আরও কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে চলছে এই বিষয় নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। সারা ভারতে ২০০ জন রোগীর ওপর এই পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই মেডিক্যাল কলেজগুলি হল কানপুরের জিএসভিএম গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, দিল্লির হামদর্দ মেডিক্যাল কলেজ এবং পাঞ্জাবের বাথিন্দা হসপিটাল। কলকাতায় এই ট্রায়ালটির দায়িত্বে আছে এ কে বায়ো সলিউশনস নামে একটি ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সংস্থা। যদিও বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা (Medical Experiment) করে দেখছেন এই সিলভার ড্রেসিং প্যাড কতটা কার্যকরী।
আসলে কখনও ড্রেসিং গজ আবার কখনও অ্যান্টিবায়োটিক, ক্ষত নিরাময়ে সাধারণত চিকিৎসকরা এই দু’টির সাহায্য নেন। রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী কখনও তাঁকে দিতে হয় চড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাই এর থেকে বাঁচতে এই নয়া ভাবনা।
এ বিষয়ে এনআরএস-এর প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা: অমিতাভ দে বলেন, ”ট্রায়ালটা (Medical Experiment) আমাদের বিভাগে হচ্ছে। গোটা বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে।”
জানা গিয়েছে, এই প্যাডটির প্রধান উপাদান হল ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট’। যা ঘা থেকে বেরিয়ে আসা রক্তরস শুষে নেবে। ফলে ঘা শুকিয়ে যেতে সময় অনেক কম নেবে। রোগীও অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না খেলেও চলবে। এই প্যাড ব্যবহারেই ক্ষত নিরাময় হবে। অবশ্য গোটা বিষয়টি এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষার স্তরেই রয়েছে।