নিউজ ডেস্ক: ২ দিনেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন (RG Kar Protest) জারি জুনিয়র ডাক্তারদের। এবার তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন সিনিয়র ডাক্তররাও। তাঁদের বক্তব্য, কাউকে সাসপেন্ড করা হলে ওপিডি ওয়ার্ড তুলে নেওয়া হবে। সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে রয়েছে।
আসলে বুধবার নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানে কড়া মনোভাব দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কাকে কোন পদে রাখা হবে? অথবা সরকার কাকে রাখবে বা ছাড়বে? সেটা জুনিয়ার ডাক্তাররা ঠিক করতে পারেনা। বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ওরা কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে সব মানতে হবে?” একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণও স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই স্বাস্থ্যভবনের বাইরে ধরনা মঞ্চে (RG Kar Protest) সিনিয়র ডাক্তাররা কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন, “যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, তাহলে আমরা বাধ্য হব কর্মবিরতির মতো কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।”
এদিন সিনিয়র ডাক্তাররা আরও বলেন যে, ”আমরা আশা করেছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হবেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিপূর্বে বহু বৈঠক করেছেন, যেখানে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা থেকেছে। কিন্তু আজ যখন জুনিয়র ডাক্তাররা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আবদেন করছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে, সেটা আমাদের জানা নেই। অবিলম্বে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক (RG Kar Protest) করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে সর্বদাই আছি।”
অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের উচিৎ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দেওয়া। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কোনওরকম পদক্ষেপ করেননি। তবে সিনিয়র ডাক্তারদের এই হুঁশিয়ারির পর রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।