নিউজ ডেস্ক: ২৫ দিনের যুদ্ধ শেষ। প্রয়াত সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকার জন্য গত কয়েকদিন ধরে দিল্লির এইমস হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। এদিন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু জানিয়েছেন, সীতারাম আর নেই। দুপুর ৩টে তিন মিনিটে প্রয়াত হন সীতারাম। জানা গিয়েছে, তাঁর ইচ্ছানুযায়ী গবেষণার জন্য তাঁর মৃতদেহটি পরিবারের তরফে দিল্লি এইমসকে দান করা হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ফুসফুসে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ার কারণে দিল্লির এইমস হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ। গত কয়েকদিন ধরে একাধিক চিকিৎসকের অধীনে অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে চিকিৎসা চলছিল সীতারাম ইয়েচুরির (Sitaram Yechury)। এইমস-এর তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, গত ১৯ অগাস্ট থেকে নিউমোনিয়ার কারণে দিল্লি এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি।
ইয়েচুরির (Sitaram Yechury) সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক নিবিড়। ২০০৫ সালে এই রাজ্য থেকেই রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সিপিএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি।
উল্লেখ্য, গত ৮ অগস্ট প্রয়াত হন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সে সময় ছানি অপারেশন হওয়ায় তিনি (Sitaram Yechury) বুদ্ধদেবের অন্তিম যাত্রায় যোগ দিতে পারেননি। তাঁর স্মরণসভার সময়ও তিনি শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যদিও হাসপাতাল থেকেই তিনি বুদ্ধদেবর স্মৃতিচারণায় বিশেষ ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
সিপিএম সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সীতারামের (Sitaram Yechury) মতো রাজনীতিকের মৃত্যু জাতীয় রাজনীতিতে বড় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন মমতা। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকও সীতারামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, প্রবীণ সিপিএম নেতার সংসদীয় রাজনীতির বিষয়ে গভীর ধারণা ছিল। একইসঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘সীতারাম ইয়েচুরি আমার বন্ধু ছিলেন। উনি দেশের জন্য গভীরভাবে ভাবছেন। আমাদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে যে আলোচনা চলত, সেগুলি খুব মিস করব। তাঁর পরিবার, পরিজন, বন্ধু এবং অনুগামীদের প্রতি গভীর সমবেদনা রইল।’