নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে এবার সিবিআই-এর নজরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সিপি বিনীত গোয়েলকে (Vineet Goyal) তলবের প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। তারপরই সিপি বিনীত গোয়েলকে তলবের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি তিলোত্তমা ধর্ষণ খুন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। সিবিআই সূত্রে খবর, অভিজিৎকে মূলত গ্রেফতার করা হয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে। সূত্রের খবর, সেটাকেও সিবিআই কর্তারা কোথাও মনে করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এক্ষেত্রে গাফিলতি করেছেন অভিজিৎ। কিছু মানুষকে এই গোটা তদন্তে ভুল পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করেছেন পরোক্ষভাবে। কিন্তু কেন এমনটা করলেন অভিজিৎ মণ্ডল? কার নির্দেশে? ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি-কে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞসাবাদ করেছে সিবিআই। শনিবার গ্রেফতারির পর রাতভর সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডলকে। জেরায় বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে।
এর সঙ্গেই ডিসি ডিডি স্পেশ্যাল, ডিসি নর্থকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এই দুই আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে কলকাতা পুলিশের ইন্সস্টিটিউশন্যাল হেড হিসাবে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। সিবিআই-এর বক্তব্য, ইন্সস্টিটিউশন্যাল হেড হিসাবে নগরপাল বিনীত গোয়েলের (Vineet Goyal) এই বিষয়গুলো দেখার কথা ছিল। সূত্রের খবর, এমনকি সিপি-র সঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের কথোপকথন হয়েছে, সেটাও এড়িয়ে গিয়েছেন অভিজিৎ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪ অগস্ট রাতে যখন আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর হয়, সেখানে দাঁড়িয়েই সিপি বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal) বলেছিলেন, ”আমরা কোনও কিছু ভুল করিনি। আমি আমার অন্তর থেকে বলছি, আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি না। যদি সিবিআই প্রমাণ করতে পারে, আমি কিংবা আমার টিমের কেউ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছি, তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছি, আমাদের দায় থাকবে। আমরা রেসপন্সিবল ফোর্স, এভাবে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায় না।” এবার বিনীত গোয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কোনও বড় তথ্য মেলে কী না, সেটাই দেখার।