নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ৩৮ দিন আন্দোলনের পর জুনিয়র ডাক্তারদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল সরকার। সোমবার রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিটিং-এর (Mamata- Junior Doctor Meeting) পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, বেশ কিছু জায়গায় দাবি মানা হয়েছে। কিছু দাবি মানা হয়নি। তবে কর্মবিরতি চলবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তাঁরা জানান, কলকাতা পুলিশের সিপি, ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সে আশ্বাস মৌখিক। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের কথায়, “যতক্ষণ না অবধি এর বাস্তবায়ন ঘটছে, ততক্ষণ অবধি আমরা আমাদের আন্দোলন, অবস্থান, কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে বাস্তবায়ন হবে, সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানি হবে, তারপর আমরা প্রত্যেকটা কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা সকলে বসে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে নয়।”
একইসঙ্গে, জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, আন্দোলনের ৩৮তম দিনে এসে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা (Mamata- Junior Doctor Meeting) করলেন। তাঁর কথায়, “সুপ্রিম কোর্টে যেমন মামলা চলছে, তেমনই রাজ্য সরকারের কাছেও আমাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। বারবার আমরা তাই আলোচনায় বসতে চেয়েছি। আমাদের সদিচ্ছার কোনও অভাব ছিল না। ৯ তারিখের ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনাক্রমে বাধ্য হয়েছেন উনি বলতে যে, সিপিকে সরানো হবে। ডিসি নর্থকেও সরানোর কথা বলেন।”
এ প্রসঙ্গে সোমবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থকে বদলি করা হবে। সরানো হবে শিক্ষা অধিকর্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে সরকারি নির্দেশ আসবে।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার ফের সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সিবিআই-এর। কী হবে এই মামলার শুনানিতে, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য এবং দেশের মানুষ।