নিউজ ডেস্ক: এক দশক পরে জম্মু ও কাশ্মীরে আবার বিধানসভা ভোট হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হল জম্মু ও কাশ্মীরে। মোট তিন দফায় জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। মোট ২৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। প্রথম দফায় দক্ষিণ কাশ্মীর অঞ্চলের ১৬টি আসনে এবং জম্মু অঞ্চলের ৮টি আসনে ভোট হচ্ছে।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম বিধানসভা ভোট (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে। এর আগে ২০১৪ সালে যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, তখন সেটি পূর্ণ রাজ্য ছিল। তবে এখন এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২৩ লাখ ভোটার। তার মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতও রয়েছেন। মোট ৩২৭৬টি বুথে প্রায় ১৪ হাজার ভোটকর্মী দায়িত্বে আছেন আজ।
এদিন ভোটগ্রহণ (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) পর্বে সকলকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় নির্বাচনী এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৬.৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। নির্বাচনের কারণে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকা।
বিগত কয়েক দিন ধরে বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেই কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা সাজিয়েছে প্রশাসন। সশস্ত্র আধা সামরিক বাহিনী (সিএপিএফ) থেকে শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ— নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সাজানো হয়েছে বহু স্তরে। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর কমিশনও। একই সঙ্গে ভোটদানে (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) সর্বাধিক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় তারা। সেই মতো একাধিক পদক্ষেপও করেছে কমিশন এবং পুলিশ। যেখানে যেখানে ভোট, সেই সব এলাকায় চলছে রুটমার্চও।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয় জম্মু-কাশ্মীরে। সেই নির্বাচনে পিডিপি দক্ষিণ কাশ্মীর এবং চেনাব উপত্যকায় ২২টি আসনের মধ্যে ১১টি আসন জিতেছিল। এটিই সর্বোচ্চ আসন ছিল। বিজেপি এবং কংগ্রেস ৪টি আসনে জিতেছিল, ন্যাশনাল কনফারেন্স ২টি আসন এবং সিপিআই-এম একটি আসন দখল করেছিল। এবার দেখা যাক এত বছর পর এই বিধানসভা ভোটের ফলাফল কী দাঁড়ায়।