নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্না অবস্থানের শেষ দিনের মঞ্চ থেকেই আগামীদিনে রাজ্যজুড়ে বিজেপির (BJP on RG Kar issue) একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই কথা মত এবার বুধবার থেকে টানা দু’সপ্তাহ ব্যাপী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করছে পদ্ম শিবির।
উল্লেখ্য, হাতে আর একমাসও সময় নেই। তারপরই পুজো। কিন্তু পুজোর মধ্যেও তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে তাঁরা। ইতিমধ্যেই তিন পর্যায়ে ২৪ দিনের ধরনা শেষ হয়েছে। কিন্তু তিলোত্তমার ঘটনার সুবিচার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন (BJP on RG Kar issue) অব্যাহত রাখবে গেরুয়া শিবির।
আজ, বুধবার একদিকে যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দমদম নাগেরবাজারে আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিজেপি (BJP on RG Kar issue), তখন অন্যদিকে একই দাবিতে নিজের হোম গ্রাউন্ড কাঁথিতে পথে নামতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ থেকে শুরু হয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে মহালয়ার আগের দিন। অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত পুর এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু’তিনটি করে পথসভা করবেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
এর মাঝেই ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। ‘থানা সাফাই’ অভিযানেরও ডাক দিয়েছে তারা। ঝাঁটা আর গঙ্গাজল দিয়ে ২৩ তারিখ এই অভিযান করবে বিজেপির মহিলা মোর্চা। এছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে সভা করার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ তারিখ কালীঘাট চলোর ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই হাজরা মোড়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি পুজোর সময় অন্য বছরের তুলনায় এবার বুক স্টলের সংখ্যাও বাড়াতে চায় বিজেপি। সেখানেও নিজেদের দাবিতে সই সংগ্রহ করতে হবে বিজেপি নেতা কর্মীদের, তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো পর্বে বুক স্টলে সই সংগ্রহ করতে দেখা যাওয়ার কথা সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের। তিলোত্তমার হত্যার সুবিচার আর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এক কোটি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে বিজেপি। সেই সব সই রাজভবনে মাথায় করে নিয়ে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। আর দাবি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের পদত্যাগের।