নিউজ ডেস্ক: আর চিকিৎসক থাকবেন না সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে মেডিক্যাল কাউন্সিল। স্বাস্থ্য ভবন সাসপেন্ড করেছে আগেই৷ এবার বাতিল হতে পারে তাঁর রেজিস্ট্রেশনও। বুধবার এই নিয়েই মেডিক্যাল কাউন্সিলে বৈঠক হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। যদিও এই মর্মে এখনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি কাউন্সিল, বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি আকারে বেরোতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এর পর আর ডাক্তারি করতে পারবেন না আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলাতও গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। সিবিআই গ্রেফতার করেছে তাঁকে। গত ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে শোকজ করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই শোকজের চিঠিতে আরজি কর কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়া এবং সেই সংক্রান্ত ইস্যু উল্লেখ করা হয়েছিল। কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে তিন দিনের মধ্যে তাঁর জবাব তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, ৭২ ঘণ্টার জায়গায়, আজ ১১ দিনেও তাঁর জবাব পৌঁছয়নি। সেই কারণে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কাউন্সিলের ব্যাখ্যা ছিল, কোনও চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাতিল করতে হলে দু’টি কারণে তা করা সম্ভব৷ প্রথমত, কেউ যদি কোনও অপরাধমূলক কাজের চক্রান্ত কিংবা তাতে সরাসরি যুক্ত থাকার অপরাধে আদালতে দোষী প্রমাণিত হন৷ দ্বিতীয়ত, কোনও অপরাধমূলক কাজে নাম জড়ানোর ফলে জনসমাজে যদি তাঁর বদনাম হয়৷ তবে দু’টি ক্ষেত্রেই শোকজ না করে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা নিয়মবিরুদ্ধ৷ তাই সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) প্রথমে শোকজ করা হয়৷ কিন্তু ১১ দিনেও শোকজের জবাব না আসায় তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh)রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার দুপুরেই আলোচনায় বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই মিটিংয়েই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের পক্ষে জোরাল সওয়াল ওঠে। চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে তার আগে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছিল, সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন যেন বাতিল করা হয়।