নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চ (Doctor’s Protest) যেন ভাঙা হাট! খোলা হচ্ছে ত্রিপল। সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে চৌকি। এমনকী, ছাউনিতে থাকা স্ট্যান্ড ফ্যানগুলিও সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ডেকোরেটার্সরা। বুধবার রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা যখন নবান্নে বৈঠক করছেন, তখনই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা মঞ্চের বাঁশ খুলে নিতে দেখা যায়। তবে রাতেই সব জল্পনা শেষ করে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁদের অবস্থান এখনই উঠছে না। নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে মৌখিক আশ্বাস মিললেও মিনিটসে তার উল্লেখ না থাকায় ধরনা জারি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল, ধরনা মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ড ফ্যান, সরানো হচ্ছে বায়ো টয়লেটগুলিও।
এমনকী, একাধিক নম্বর থেকে উড়ো ফোন আসছে বলেও দাবি। কার নির্দেশে এসব হচ্ছে তা জানেন না আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের দাবি, ‘ফোনে নির্দেশ আসছে।’ কে বা কারা নির্দেশ দিচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন ডাক্তাররা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। চতুর্থ ও পঞ্চম দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। তার পরেও বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। ফলে বৈঠক হলেও সমাধান অধরাই ছিল। রাতে নবান্ন থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনস্থলে (Doctor’s Protest) ফিরে আসেন তাঁরা। অথচ রাতেই দেখা যায় আন্দোলনকারীদের ছাউনি, বাঁশ খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের আপত্তিতে বন্ধ হয় ছাউনি খোলা।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা গড়াতেই দেখা যায় সেই একই ছবি। ডেকোরেটার্সরা ছাউনি, বাঁশের পাশাপাশি স্ট্যান্ড ফ্য়ানও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। সরানো হয় চৌকিও। তীব্র গরমের মধ্যে হাতপাখা নিয়ে ধরনা মঞ্চে (Doctor’s Protest) বসে জুনিয়র ডাক্তাররা।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলরত জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, “এক ‘অদৃশ্য শক্তি’ আছে। সেখান থেকে প্রায় প্রতিদিন ডেকরেটরদের কাছে ফোন আসছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ঘুরিয়ে মিষ্টি করে বলা হচ্ছে। আজ এক ছোট ডেকরেটর সংস্থা তাদের জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। ওরা যাওয়ার সময় শুধু হাতজোড় করে বলেছে আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।”