নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ১১ দিনের মাথায় ধরনা (RG Kar Protest) প্রত্যাহার করতে চলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শুক্রবারই উঠে যাচ্ছে ধরনা। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঘোষণা আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত বিকাল ৩টের সময় মিছিলের ডাকও দেওয়া হয়েছে। তারপরই উঠে যাবে ধরনা। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন সকলেই।
তবে, জরুরি পরিষেবায় যোগ দিলেও ওপিডি-কোল্ড ওটি’র ক্ষেত্রে কর্মবিরতি (RG Kar Protest) অব্যাহত থাকবে বলে এদিন স্পষ্টতই জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে ফের দেওয়া হয়েছে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও।
গত ৯ অগস্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে কর্মবিরতি পালন করছিলেন তাঁরা। গত ন’দিন ধরে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাঁদের ধর্না চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। বুধবার বৈঠক হয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গেও। সেখানেই মুখ্যসচিবের নির্দেশিকাতেই শেষ পর্যন্ত খুলল জট। আপাতত কর্মবিরতি (RG Kar Protest) আংশিক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, “আংশিক জয়ের জন্য শনিবার থেকে আমরা কাজে যোগ দিচ্ছি। আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আংশিকভাবে কর্মবিরতি (RG Kar Protest) প্রত্যাহারের মাধ্যমে সদিচ্ছা যে আছে, তা দেখাতে চাইছি। তবে এই লড়াই জারি থাকবে। স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ নিয়ে সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা নজর রাখছি।” তাঁরা বলেন, “সিবিআইয়ের কাছে আমাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। আগামীকাল থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় আমরা পৌঁছে যাব। আমাদের আন্দোলন যে সাধারণ মানুষের আন্দোলন, তা প্রমাণে বন্যা কবলিত এলাকায় ক্লিনিক খোলা হবে। আমরা যে রাজনীতি করতে আসিনি, ন্যায় বিচারের জন্য এসেছি, তা প্রমাণেই এই সিদ্ধান্ত।”
জানা গিয়েছে আজ, শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি আংশিক তুলে নেওয়া হবে। ধরনামঞ্চ উঠবে শুক্রবার থেকেই। বিকেল ৩টে নাগাদ ধরনামঞ্চ থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের একটি মিছিল হবে। তার মাধ্যমেই অবস্থান (RG Kar Protest) তুলে নেওয়া হবে। শনিবার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন আন্দোলনকারীরা। তবে কাজে ফিরলেও তাঁদের যে দাবি রয়েছে সেই দাবি পূরণের জন্য তাঁরা এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন প্রশাসনকে। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে যেতে পারেন তাঁরা।