নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যে একটা দাবি একটু অন্য রকম। সেটা হল ‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) শেষ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ‘দাদাগিরি’। ‘থ্রেট কালচার’ বা ‘হুমকি সংস্কৃতি’ঠিক ব়্যাগিং নয়। তার থেকেও মারাত্মক। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে দাদাগিরি বা হুমকি দেওয়া হয় ডাক্তারির পড়ুয়াদের সেটাই হল ‘থ্রেট কালচার’ বা ‘হুমকি সংস্কৃতি’।
হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণের রাখতে ও রাজ্যের শাসকদলের আনুগত্য পেতে একদল ডাকাবুকো ছাত্র এই ‘থ্রেট কালচার’ বা ‘হুমকি সংস্কৃতি’র (Threat Culture) রাশ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিল। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কথা অনুযয়ী পাশ করিয়ে দেওয়া থেকে পছন্দের স্থানে কাজ পাওয়া সব কিছুতই হত টাকার বিনিয়ম। যারা টাকা দিতে রাজি হত না তাদের পরিণতি খুব একটা ভাল হয় না। ভয় দেখানো, মারধর করা, নাজেহাল করা, অপদস্থ করা- এসবই হল ‘থ্রেট কালচার’ বা ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অঙ্গ।
আর এই কালচারের (Threat Culture) সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সকলরেই মাথায় রয়েছে শাসক দলের ছাতা। যে কারণে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, মেদিনীপুর সর্বত্রই চলছে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা কোনও কোনও ‘দাদা’র দাদাগিরি। এই ‘দাদা’রা আবার নাড়া বেঁধে রেখেছেন তৃণমূলের ওপরতলার কোনও চিকিৎসক নেতার কাছে। তার জেরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কায়েম রয়েছে ‘থ্রেট কালচার’।
জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারির ছাত্রদের একাংশের দাবি, ২০২০-’২১ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’-র (Threat Culture) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তাঁদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে ‘আনুগত্য’ লাভের ইচ্ছা এবং ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা। রেজিস্ট্রেশন বাতিল থেকে আটকে দেওয়া -এমন হুমকিও দেওয়া হত জুনিয়র ডাক্তাররা। মোটকথা দিনের পর দিন একটি বড় চক্র তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে। রেহাই পেত না সিনিয়র ডাক্তাররাও। সিনিয়র ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রোমোশন আটকে দেওয়া বদলি করে দেওয়ার হুমকি।
চিকিৎসকদের একাংশ আরও মনে করেন, দীর্ঘ দিন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন না হওয়ার কারণে জাঁকিয়ে বসেছিল থ্রেট কালচার। তাই মে়ডিক্যাল কলেজগুলিতে দ্রুত নির্বাচন করার দাবিও জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা।