নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে এবার সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন বিরূপাক্ষ। আসলে আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই একের পর এক মেডিক্য়াল কলেজে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ উঠেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নাম আসে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের। অভিযোগ ওঠে, নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধারের দিনও নাকি আরজি করে ছিলেন বিরূপাক্ষ। এহেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসককে এবার সিবিআই তলব করে জেরা করছে।
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন বিরূপাক্ষ। ভাইরাল ভিডিওতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল বলে অনেকের দাবি। অন্য কলেজের চিকিৎসক হলেও কেন এসেছিলেন আর জি কর হাসপাতালে? জানতে চায় সিবিআই। যদিও, বিরূপাক্ষ দাবি করেন, ওই দিন আর জি কর মেডিক্য়ালে গেলেও তিনি সেমিনার হলে যাননি। তবে ইতিমধ্যেই চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
আসলে, বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র আবাসিক চিকিৎসক ছিলেন বিরূপাক্ষ। তাঁকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে সিনিয়র আবাসিক চিকিৎসক হিসাবে বদলি করা হয়। তবে বিরূপাক্ষের বদলির বিরুদ্ধে সরব হন কাঁকদ্বীপ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরে হুমকির সংস্কৃতি ছড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় বিরূপাক্ষকে।
প্রসঙ্গত, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সম্প্রতি পার্থপ্রতীম প্রধান জানিয়েছিলেন, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের গতিবিধি সম্পর্কে একজোট হয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সর্বোচ্চ আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন একাধিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য দফতর। অন্যদিকে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় টোকাটুকিতে মদত দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ জানান, পরীক্ষার সময় সমস্ত হলে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও টুকলি আটকাতে দিতেন না বিরূপাক্ষ। অভিযোগ, পরীক্ষার সময় টুকলি কেড়ে নিলে হুমকি দেওয়া হত। কার টুকলি কাড়া যাবে কারটা কাড়া যাবে না তা বিরূপাক্ষের দলবল ঠিক করত।