নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় অবশেষে স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। ২ বছর পর সপ্তাহের প্রথম দিনেই তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। জেল থেকে বেরিয়ে এক মুহূর্তও আর দিল্লিতে কাটাতে চান না অনুব্রত। আজই রাজ্যে ফিরতে চান। সঙ্গে ফিরবেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও। তবে ইডি তাঁর জামিন আটকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। শেষ পর্যন্ত কী হয়, বেলা গড়ালেই তা জানা যাবে।
উল্লেখ্য, ২ বছর তিনি গরুপাচার কাণ্ডে জেল-বন্দি। তবু তিনি স্বমহিমায় আসীন পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে। পার্টি সুপ্রিমোকেও একাধিকবার ‘বীরভূমের বাঘের’ (Anubrata Mondal) হয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। বীরভূমে তাঁর অনুরাগীরা মুক্তি কামনায় একের পর এক যাগ-যজ্ঞ করেছেন। এবার তাঁদের প্রার্থনা সার্থক করে ঘরে ফিরছেন অনুব্রত। শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত থেকে জামিন পেলেও, শনিবার সন্ধেয় অনুব্রতর আইনজীবীর হাতে এসেছে অর্ডারের কপি। পরদিন রবিবার থাকায় কোনও কাজ হয়নি। ফলে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জেলমুক্তিতে কিছুটা দেরি হতে পারে। এর আগে জেল থেকে মুক্তি পান অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তিনি দিল্লিতেই রয়েছেন। আজ বাবার সঙ্গে ফিরতে পারেন সুকন্যাও।
তবে মুক্তির আগে তাঁকে (Anubrata Mondal) ১০ লক্ষ টাকার বন্ড জমা দিতে হবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অনুব্রতর আইনজীবী ১০ লক্ষ টাকার বন্ড জমা দিয়েছেন। ইডি ও সিবিআই-র তরফে দুটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন অনুব্রত, তাই দুই মামলারই বেইল বন্ড বা জামিন বন্ড ও প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরে নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল কেষ্টকে। পরে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে (Anubrata Mondal)। সেই থেকে তিহাড় জেলেই বন্দি তিনি। এই একই মামলায় ওই বছরের নভেম্বর মাসে ইডিও তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। তবে সম্প্রতি সিবিআই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। এরপর গত শুক্রবার ইডি মামলাতেও জামিন পান তিনি। অবশেষে পুজোর আগেই বোলপুরের নিজের বাড়িতে ফিরতে চলেছেন বীরভূমের ‘বাঘ’ অনুব্রত।