নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Update) কলকাতা পুলিশ যে ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছিল তা ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে। সেখানে ঠিক কতক্ষণের ফুটেজ আছে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে দুপক্ষের। সিবিআইয়ের দাবি, তরুণীর মৃত্যুরহস্য নানা পরতে মোড়া। এক এক করে জট খুলতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তা করতে গিয়েই সিসিটিভির পুরোনো ফুটেজ নতুন করে খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ৯ অগাস্ট ঘটনার দিনের তো বটেই, তার ১৫ দিন আগের ফুটেজও সঠিক ভাবে সংরক্ষণ অথবা বিকৃত করা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখবে তারা। আর সেই ঘটনায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও দুজনেই এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, ঘটনার (RG Kar Update) কয়েক ঘণ্টা আগে এবং পরে ঘনঘন দু’জনের মোবাইলে ফোন এসেছিল। যাঁরা ফোন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার কয়েকদিন আগেও হাসপাতালে যাতায়াত করেছেন সন্দেহভাজনরা। দেখা করেছেন সন্দীপের সঙ্গেও। কেন? সেই উত্তর আপাতত অধরাই রয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, আরজি কর (RG Kar Update) মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সক তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের এই ঘটনায় এবার পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর নির্যাতিতার মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নির্মল ঘোষ।
জানা গিয়েছে, আরজি কর (RG Kar Update) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যখন নির্যাতিতার মৃতদেহ সোদপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তা দাহ করা হয়। এই দেহ দাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এমনই বেশ কিছু ছবি আগেই সিবিআই এর হাতে এসে পৌঁছেছিল। তখন থেকেই সিবিআই এর নজরে ছিলেন তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ। এরপরই তলব করা হয় বিধায়ক নির্মল ঘোষকে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সিবিআই দফতরে এসেছেন পানিহাটির বিধায়ক।