নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)-সহ চারজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক সুজিত কুমার ঝা।
সোমবার আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) সহ ধৃত চার জনের মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। শুনানি চলাকালীন সিবিআই দাবি করে, অভিযুক্তেরা ভীষণভাবে প্রভাবশালী। অন্য সাক্ষী যাঁরা আছেন তাঁদের প্রভাবিত করতে পারেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এহেন যুক্তি শুনে শেষ পর্যন্ত ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসার আলিকে হেফাজতে রাখার না নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ অগস্ট সদীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের ফুড স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিনের জায়গা টেন্ডার না ডেকেই বণ্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরবরাহকারীদের কাজের বরাত দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের জৈব বর্জ্য বেআইনিভাবে বাইরে বিক্রি করাতেও নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। কলকাতা হাইকোর্টে এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। সেই মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।
এই মামলায় ধৃত সুমন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের (Sandip Ghosh) ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে এই দু’জনের সংস্থাই হাসপাতালে বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করতো। আফসর হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সিকিউরিটির পদে কাজ করতেন। সন্দীপের নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকায় হাসপাতালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’রও অভিযোগ রয়েছে।