নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলায় রেল দুর্ঘটনার খবর। ঘটনাস্থল ফের উত্তরবঙ্গ। ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনের কাছেই লাইনচ্যুত (Train Derailed) হয়েছে মাল গাড়ি। স্টেশনে ঢোকার মুখেই ইঞ্জিন থেকে ছিটকে যায় বেশ কয়েকটি বগি।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে উত্তরবঙ্গের রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও পুরপুরি ম্লান হয়ে যায়নি মানুষের মনে। এরই মাঝে সেই উত্তবঙ্গেই লাইনচ্যুত (Train Derailed) হল আরও একটি ট্রেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনের কাছেই লাইনচ্যুত হয়েছে একটি পণ্যবাহী মালগাড়ি। জানা গিয়েছে, মাল গাড়িটি অসম থেকে এনজেপি-র দিকে যাচ্ছিল। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলের বৈদ্যুতিক খুটি। এই ঘটনায় আংশিক প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলে। নির্দিষ্ট সময়ের থেকে দেরিতে চলতে শুরু করে দুরপাল্লার একাধিক ট্রেন। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে রেল দফতর।
জানা গিয়েছে, নিউ ময়নাগুড়ির বেদগাড়ায় এ দিন সকালে লাইনচ্যুত (Train Derailed) হয় মালগাড়িটির পাঁচটি বগি। এরপরই তৎক্ষণাত রেল দফতরে খবর দেওয়া হয়। রেল দফতরের আধিকারিকরা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কিছু পরই। ঘটনা প্রসঙ্গে ডিআরএম আলিপুরদুয়ার জানিয়েছেন, অসম থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী একটি গুডস ট্রেনের পাঁচটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে, রেল বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মাল গাড়িতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ জুন উত্তরবঙ্গের রাঙাপানিতে মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয় ১০ জনের। মৃতদের মধ্যে মালগাড়ির চালকও ছিলেন। তার দেড় মাসের মাথায় ফের রেল দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরবঙ্গেই। লাইনচ্যুত (Train Derailed) হয় মালগাড়ির ২টি কন্টেনার। এরপর ১৭ অগাস্ট ভোরে ফের ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশে। সেই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে ট্রেনের ২০টি কামরা। এরপর আবারও গত ৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে সোমনাথ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তবে কেন বারবার ঘটছে দুর্ঘটনা? প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের নিরাপত্তা। আর এই দুর্ঘটনাগুলির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের লাইনচ্যুত ট্রেন।