নিউজ ডেস্ক: বন্যার জলে ভাসছে বাংলা। বিঘার পর বিঘা জমি প্রায় জলমগ্ন৷ গত দুই দিন ধরে বন্যা কবলিত স্থান সরজেমিনে খতিয়ে দেখতে দুই দিনের সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ সেখানেই বানভাসি এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই বন্যায় দুর্গতদের জন্য বাড়ি, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি (Mamata Banerjee) বলেন, “বন্যায় যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে৷ বন্যায় ভেঙে গিয়েছে এমন ১-২ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে৷ এছাড়া, জল সরে গেলে কৃষকদের যে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার৷” এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী ও বিধান মাঝি প্রমুখ ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আরও জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিষয়গুলি দেখছে প্রশাসন৷ যদিও ফের ডিভিসিকেই নিশানা মমতার৷ তিনি বলেন, ”যদি ডিভিসি আবার জল ছাড়ে তাহলে আমি এবার কড়া ব্যবস্থা নেব৷ এই বন্যা রুখতে আরও সক্রিয় হতে হবে৷ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা শ্স্যবীমার টাকা পাবে৷ আবার বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে তাই এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ সবাইকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি৷ সকলেই যাতে ত্রাণ পান সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হলে নিজেদের বাঁচাতে বাংলার উপর জল ঢেলে দেওয়া হয় বিশেষ করে এই বিষয়টিকে ম্যান মেড বন্যা তত্ত্ব আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর একথা মানতে নারাজ কেন্দ্র৷ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য ভুল তথ্য দিচ্ছে৷ রাজ্যকে জানিয়ে ডিভিসির জল ছাড়া হয়েছে৷”