নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতে আজ, বুধবার বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচি (BJP kalighat Chalo Abhija) রয়েছে। আরজি কর ইস্যুতে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি চাই এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আজ, বুধবার হাজরাতে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের সভা রয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব আজ, বুধবার হাজরা মোড়ের সভায় উপস্থিত থাকবেন।
গত ২৭ অগস্ট ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলার অভিযোগে পরের দিন ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি। তারপরই ত্রিফলা অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেছিলেন, “এবার পতাকা ছাড়া একদিনে লালবাজার, কালীঘাট, নবান্ন অভিযান করুন।” শুভেন্দুর সেই ত্রিফলা অভিযান কবে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে পদ্মশিবিরের তরফে ২৫ সেপ্টেম্বর ‘কালীঘাটে চলো’ অভিযানের (BJP kalighat Chalo Abhija) ডাক দেওয়া হয়। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন। সে কারণেই বিজেপি কালীঘাট বা হাজরা চলোর ডাক দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি সূত্রের খবর এদিনের কর্মসূচিতে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও অংশ নেবেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য সাংগঠনিক নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিরা। আসলে আরজি করের ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে চলেছেন বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা। স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সুকান্ত, শুভেন্দু থেকে দিলীপ ঘোষরা ফাটিয়ে চলেছেন একের পর এক বোমাও। ডাক দিয়েছেন আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করার। সেই কথা মত আজ, বুধবার হাজরা মোড়ের সভা (BJP kalighat Chalo Abhija) থেকে পদ্ম নেতাদের সুর সপ্তমে থাকবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
অন্যদিকে এই একই দিনে আবার কংগ্রেসের ধর্মতলায় দু’দিনের কর্মসূচিতে সায় দিয়েছে আদালত। নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের কর্মসূচিতে থাকছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দুপুর ১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ধরনা অনুমতি পেয়েছে হাত শিবির। ১০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে এই কর্মসূচি করা যাবে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।