নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) মামলায় ফের আইনজীবী বদল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে তিলোত্তমা কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি। আর তার আগেই নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের তরফ থেকে বদল করা হল আইনজীবী। এবার বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বদলে এই মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে সওয়াল করবেন বৃন্দা গ্রোভার।
তিলোত্তমার পরিবার সূত্রে খবর, তাঁরা চাইছেন ওজনদার কোনও আইনজীবী তাঁদের মেয়ের সুবিচারের জন্য লড়ুক। চিকিৎসকদের পক্ষে যেমন ইন্দিরা জয়সিং জোরাল প্রশ্ন করছেন, তা দেখেই তিলোত্তমার পরিবারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতদিন তিলোত্তমার বাবা-মা’র হয়ে লড়ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনিও বিনা পারিশ্রমিকেই নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু মামলা লড়তে ঘন ঘন দিল্লি যেতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। তাই সব মিলিয়ে বিকল্প ভাবে নির্যাতিতার পরিবার। জানা গিয়েছে, আইনজীবী বৃন্দা এই মামলা লড়ার জন্য তিলোত্তমার মা-বাবার কাজ থেকে এক টাকাও পারিশ্রমিক নেবেন না।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে ১৫ সেপ্টেম্বর জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবীও বদল হয়েছে। গীতা লুথরার বদলে মামলার নয়া আইনজীবী হিসেবে ইন্দিরা জয়সিং-কে নিয়োগ করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে প্রথমবার অংশ নেন ইন্দিরা জয়সিং। তাঁর একের পর এক জোরাল প্রশ্নে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য সরকার পক্ষ। আর এরপর এবার আইনজীবী বদলের সিদ্ধান্ত নির্যাতিতার মা-বাবারও।
জানা গিয়েছে, আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনা নিয়ে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল বৃন্দা। রাত দখল কর্মসুচির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানিতেই নিহত চিকিৎসকের পরিবারের হয়ে সওয়াল করতে দেখা যাবে বৃন্দা গ্রোভারকে।
প্রসঙ্গত, জানিয়ে রাখা ভালো, এই বৃন্দা গ্রোভার ২০২০ সালে দিল্লির নির্ভয়া কেসে আসামীর ফাঁসি পিছিয়ে দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আইনের দোহাই দিয়ে। নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক মানবাধিকার সংক্রান্ত এবং মহিলা-শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতনের মামলায় লড়েছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালের হাসিমপুরা পুলিশ হত্যা মামলা, ২০০৪ সালের ইসরাত জাহান মামলা, ২০০৮ সালে কাঁধামালে খ্রিস্টান বিরোধী দাঙ্গা মামলাতে লড়েছেন তিনি। পকসো বিলের সংশোধনীর খসড়া তৈরিতে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে।