নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের জের। রাজ্যের সব বড় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা, ডাক্তার, নার্সদের জন্য পৃথক বিশ্রামাগার তৈরি, অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি (CCTV Camera) বসানোর জন্য অর্থবরাদ্দ করল স্বাস্থ্য দপ্তর।
আসলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আর জি করের ঘটনার পরে সব হাসপাতালেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতাল চত্বরে সুরক্ষার ব্যবস্থা-সহ একাধিক দাবিতে ৪২ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। হাসপাতালে সুরক্ষার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন কী ভাবছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টও। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। ঠিক হয়েছে, চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় ওই হাসপাতালগুলিকে সিসি ক্যামেরা (CCTV Camera) দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ন’টি হাসপাতাল সহ রাজ্যের মোট ৩৭টি হাসপাতাল এই আর্থিক বরাদ্দ পেয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে ৫০০ টিরও বেশি ক্যামেরা (CCTV Camera) বসানো হচ্ছে আরজি করে। আর জি করের সব ক’টি ভবনের প্রতিটি তলাকেই সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যেই ১০০টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক পুলিশকর্তা জানান, আর জি করে বর্তমানে ১৯০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বাকি জায়গাগুলিও সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হবে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিকেলেও পূর্ত দপ্তর প্রায় ৪০টি অন ডিউটি ডাক্তারদের বিশ্রামাগার তৈরি করা, প্রতিটিতে শৌচালয় তৈরি করা, সেখানে সমস্ত বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ লক্ষ টাকায় কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। দ্রুত এই কাজগুলি সেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা জানিয়েছেন।
এর পাশাপাশি আরও এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে প্রায় ১২০০টি সিসি ক্যামেরার (CCTV Camera) সাহায্যে নজরদারি করা হয়। সেখানেও আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে রয়েছে ৩০০টি ক্যামেরা। সেখানে আরও ৮০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। এ ছাড়া, এম আর বাঙুর হাসপাতাল, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল-সহ শহরের বহু হাসপাতাল চত্বরেই সুরক্ষার স্বার্থে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।