নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) নয়া মোড়। এবার তলব করা হল আরজি করের ২ পিজিটি-কে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন এঁরা। গতকাল, মঙ্গলবারই তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। ওই দুই মহিলা পিজিটি কেন ঘটনার পর থেকেই (প্রায় দু’মাস ধরে) বেপাত্তা ছিলেন, সেই তথ্যই তাঁদের থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা।
শুধু তাই নয়। সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন কিছু জানতে পেরেছিলেন, যার সঙ্গে এই দুই মহিলা পিজিটি-র কিছু বিশেষ যোগ রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এঁদের একজনের সঙ্গে নির্যাতিতার ঝগড়া হয়েছিল। এমন ঝগড়া যে, ওই মহিলা পিজিটি বলেছিলেন, তিনি চেস্ট মেডিসিন ছেড়ে দেবেন। ক্ষুব্ধ ওই পিজিটি দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। ঘটনার পরেই তিনি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। আর তাঁর সঙ্গে-সঙ্গেই আরও এক মহিলা পিজিটিও বেপাত্তা ছিলেন। এতদিন ধরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এতদিনে হল। এবার তাঁদের বয়ান নেওয়া হবে।
অন্যদিকে এই ঘটনার (RG Kar Incident) দুই মূল অভিযুক্ত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আজ শিয়ালদা আদালতে পেশ করল সিবিআই৷ তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের নারকো পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা৷ পাশাপাশি, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদনও করা হতে পারে৷
আসলে এই ঘটনার (RG Kar Incident) পর থেকেই ধর্ষণ, খুন, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট এবং দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে নেমেছে সিবিআই। ধর্ষণ করে খুনের তথ্য সিবিআই পেয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের কথা বলা হলেও অভিযোগের সত্যতা প্রমাণই এখন সিবিআইয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আপাতত ধর্ষণ–খুনের চার্জশিট শিয়ালদা আদালতে পেশ করে মুখরক্ষা করছেন তাঁরা। কারণ সিবিআই অফিসাররা জানেন, এই একটি বিষয় নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ আর নেই। আর তাই দুর্গাপুজোর আগে ধর্ষণ–খুনের চার্জশিট জমা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।