নিউজ ডেস্ক: বাড়ি ফিরে পরদিনই দলীয় কার্যালয়ে গেলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)৷ ২ বছর পর বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি পার্টি অফিসে যান৷ এদিন প্রায় ৩ ঘণ্টা দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে অনুব্রত বলেন, “আমার নতুন নম্বর দিয়ে দেব৷ সকলকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা৷” এবার থেকে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে ‘কেষ্ট দা’ বসবেন বলে জানা যাচ্ছে।
তবে আগামী দিনে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে অনুব্রত মণ্ডলকে? কোর কমিটি অবলুপ্ত করে আগের মতোই একা জেলা সামলাবেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)? নাকি কোর কমিটির মাথায় অনুব্রত মণ্ডলকে বসিয়ে জেলার কাজ দেখাশোনা করা হবে। এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে।
উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন অনুব্রত (Anubrata Mondal)৷ পরে আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে৷ প্রথমে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে থাকলেও পরে তাঁর ঠাঁই হয় দিল্লির তিহাড় জেলে৷ এবছরের জুলাই মাসে সিবিআই-এর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে৷ পরে দিল্লির একটি আদালতে ইডি মামলায় জামিন পান দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা৷ জামিন পান তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও৷ মেয়েকে নিয়ে গত মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর বোলপুরে ফেরেন অনুব্রত মণ্ডল৷
কিন্তু ২০২২ সালে তাঁর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর বীরভূম নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব চিন্তায় ছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বীরভূমে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় জেলার সব নেতাদের নিয়ে মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে ফিরহাদ হাকিমও ছিলেন৷ সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোর কমিটি গঠন করা হবে। আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, কাজল শেখ, বিশ্ববিজয় মান্ডি, সুদীপ্ত ঘোষ, অভিজিৎ সিনহা ও দুই সাংসদ ছিলেন সেই কোর কমিটিতে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জেলা তিনি দেখবেন সরাসরি এবং তাঁকে সহযোগিতা করবেন ফিরহাদ হাকিম। তবে এবার দেখার কেষ্ট ফিরতে বীরভূমের ভবিষ্যৎ কী হয়।