নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাদেই পুজো। কিন্তু ওপার বাংলায় পুজো (Bangladesh Durga Puja) ঘিরে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক, ভয়ের পরিবেশ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ঘনঘন হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের। কার্যত তোলাবাজি চলছে। বলা হচ্ছে, টাকা না দিলে, পুজো করতে দেওয়া হবে না।
আসলে সম্প্রতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়স্থান। এনিয়ে সেখানকার হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে এবার দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যদিও এবার পুজোয় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Durga Puja)। দেশের নেতারা সম্প্রীতির কথা বলছেন। তার পরেও থামছে না হুমকি। জানা গিয়েছে খুলনায় এক পুজো কমিটির কাছে এক উড়ো চিঠি এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুজো করতে গেলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। ‘এক সপ্তাহের ওই টাকা তৈরি রাখতে হবে। কালিনগর বাজারে যেখানে বলব সেখানে টাকা নিয়ে যাবি। প্রশাসন বা সাংবাদিকদের বললে কচুকাটা করব। তোদের পরিবারও রেহাই পাবে না। প্রশাসন, সেনাবাহিনী সব আমাদের কেনা। কোনও চালাকি করবি না। টাকা না পেলে কেটে টুকরো টুকরো করব।’
প্রসঙ্গত, মৌলবাদীরা প্রতি বছর পুজোয় হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা পুজো প্যান্ডেলগুলিকে টার্গেট করে। শেখ হাসিনার শাসনকালে সারা দেশে (Bangladesh Durga Puja) হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই পুজোয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আলাদা। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের পরেই হিন্দুদের উপর অত্যাচার নেমে এসেছিল। আর এবার হুমকি চিঠি পাওয়ায় দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশের পুজো কমিটিগুলি।
যদিও বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর (Bangladesh Durga Puja) নিরাপত্তা নিয়ে আইজি ময়মুল ইসলাম বলেন, ”দুর্গাপূজোয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। পুলিস দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রাক-দুর্গাপুজো, দুর্গাপুজো চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপুজো-পরবর্তী- এ তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে পুলিসের পুজোকেন্দ্রিক নিরাপত্তার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোমণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিস সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে।”