নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মামলায় নয়া মোড়। সিবিআই সূত্রে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগাস্ট, আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার করা হয় তরুণী চিকিত্সকের মৃতদেহ। কিন্তু সেমিনার রুমেই কি আদৌ খুন করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে? নাকি অন্যত্র খুন করে দেহ সেমিনার রুমে এনে রাখা হয়? এই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
এই পরিস্থিতিতে সিবিআই সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণে ভর করেই এবার মূল ঘটনাস্থলের (RG Kar Incident) খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই। আর সেই তদন্ত সূত্রেই এবার হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় নজর পড়েছে সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ও ডিজিটাল এভিডেন্স থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। ক্যাজুয়ালটি ব্লকের ‘সেই’ জায়গাতেই কি তাহলে খুন করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে? এ বিষয়ে যদিও সুনিশ্চিতভাবে এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অন্যদিকে আবার, ঘটনার দিন (RG Kar Incident) আর জি কর (RG Kar News) মেডিক্যালের সেমিনার হলে কী করছিলেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়? এই প্রশ্ন ঘিরে উঠে এসেছে নানান সম্ভাবনার কথা। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আর এই আবহেই সেমিনার রুমে নিজের উপস্থিতি ঘিরে অবস্থান স্পষ্ট করলেন সুশান্ত রায়। বললেন, তিনি শুধুমাত্র ওই হলের পিছন দিকে ১০-১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিচ্ছু ছুঁয়েও দেখেননি। আর তার পরই গিয়েছিলেন আর জি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষের ঘরে।
উল্লেখ্য, আরজি করে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে শুরুতেই সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যেতেই তাকে তুলে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয়। এদিকে, সিবিআই এই মামলায় গ্রেফতার করেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। বর্তমানে তাঁরাও রয়েছেন জেল হেফাজতেই।