নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টিতে ফের বিপজ্জনক পরিস্থিতি পাহাড়ে। কালিম্পং তো বটেই, ধস (Darjeeling Landslide) নেমেছে দার্জিলিংয়ের সিংমারি সহ একাধিক জায়গায়। এই বর্ষার মরশুমে মোট ন’বার ধস নামল দার্জিলিং পাহাড়ে। এরই মধ্যে টানা ভারী বৃষ্টি হওয়ায় জল বাড়ছে তিস্তায়। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধসের জেরে বিচ্ছিন্ন একাধিক জায়গা। ধসে বিদ্যুতের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় একাধিক জায়গায় বিদুৎ নেই।
আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল সিকিম আবহাওয়া দফতর। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে।
ধসের জন্য মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তাবাজার, সেবক, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পেশক রোড খোলা থাকলেও যেভাবে তিস্তায় জলস্ফীতি ঘটছে, তাতে এই রাস্তাটি বন্ধ (Darjeeling Landslide) হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়াও ধস নেমেছে লোয়ার সিটংয়ের ডায়েরি গাঁওয়ে। এ ছাড়াও ধসের কবলে দুধিয়া, পানিঘাটা রোডও। তবে বেশ কিছু জায়গায় ধস সরানোর কাজ চলছে। রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ন’বার বন্ধ (Darjeeling Landslide) হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ত দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করায় ন’দিন পর গত মঙ্গলবার খুলেছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মধ্যেই আবার বাংলা-সিকিম ‘লাইফলাইনে’ ধস নামার ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কে পর্যটকরা।