নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh)। এই অপরাধকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়েছে আদালত। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন খোদ ওই মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে একের পর এক তথ্য প্রমাণ পেশ করেছে সিবিআই। ঘটনার দিন রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ভিতর ঠিক কী হয়েছিল, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে এখনও।
এ প্রসঙ্গে বিচারক তাঁর রায়ে বলেছেন, ‘‘দু’জনের সামাজিক অবস্থান মোটেই উপেক্ষা করার মতো নয়। অন্যদিকে, এই মামলায় যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর এবং অপরাধ প্রমাণে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। তাই দু’জনকে জামিন দেওয়া হলে তা বিচার ব্যবস্থায় সমানাধিকারের পরিপন্থী হবে বলে মনে করছে আদালত।’’
এসবের মাঝেই আবার সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়ামের জন্য করা রক্ত পরীক্ষায় ব্যবহৃত রিএজেন্ট থেকেও আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar) কোটি কোটি টাকা রোজগার করা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষের আমলেই এই দুর্নীতি হয়েছে। হাসপাতালের পদাধিকারীদের সকলেই যে তাঁর এই অনিয়ম মেনে মুখ বুঝে ছিলেন এমন নয়। অন্যায়ের প্রতিবাদও হয়েছে। বিচার চেয়ে বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন। আর সেটা জানাজানি হতেই সন্দীপের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ঘনিষ্ঠ মহলে তেমনই দাবি করেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে। তবে কে ঠিক আর কে ভুল তা তদন্তে উঠে আসবে। যদিও, সন্দীপের (Sandip Ghosh) আমলে যে আরজি করে যে দুর্নীতি চলত তা এই সব ঘটনায় জ্বলন্ত প্রমাণ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র খুন ও ধর্ষণের মামলায় নয়, দুর্নীতির মামলাতেও সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সেই মামলাতেই প্রথম গ্রেফতার হন তিনি। তাঁর আমলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতি আড়াল করতেই এই খুন নয় তো? এমন প্রশ্নও উঠছে।