নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস। সমতলেও বিভিন্ন নদীতে বেড়েছে জলস্তর। এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, রবিবার পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করতে পারেন।
ইতিমধ্যেই লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের স্বাভাবিক জনজীবন থমকে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শুক্রবার সকালে বিড়িকদাড়ায় নতুন করে ধস নামে। পাহাড় থেকে বড়বড় পাথর নেমে এসেছে রাস্তায়। প্রশাসনের তরফে ওই সমস্ত জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (North Bengal Situation)। এমনকি বহু বাড়ি ভেঙে যাওয়ার খবর সামনে আসছে। বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা।
এরইসঙ্গে তিস্তার জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এই অবস্থায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা। আর এমত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ পৌঁছচ্ছেন মমতা। জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে রবিবার বিকেলে বাগডোগরায় পৌঁছবেন তিনি (CM Mamata Banerjee)।
শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসন সূত্রে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের কথা জানা গিয়েছে। উত্তরকন্যা অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের মূল প্রশাসনিক ভবনে রাত্রিবাস করবেন তিনি (CM Mamata Banerjee)। তারপর সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বৈঠক সেরে বিকেলে আবার কলকাতায় ফিরে আসার কথা তাঁর।
যদিও শুক্রবার কালিম্পং জেলা প্রশাসন থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার পাশাপাশি সিকিমের গ্যাংটক, মংগনে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ওই সব জায়গায় ইতিমধ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন এলাকাতেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের খবরে প্রশাসনিক মহলের একাংশের ধারণা, সেখানকার দুর্যোগ পরিস্থিতিই দেখতে যাচ্ছেন তিনি (CM Mamata Banerjee)। প্রশাসনিক বৈঠক করে বিপদ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের।
অন্যদিকে, সামনেই পর্যটনের মরশুম। পুজোর সময় বহু মানুষ উত্তরবঙ্গ যান। ফলে উৎসবের মুখে এমন অবস্থায় মাথায় হাত সেখানকার হোটেল মালিক সহ পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদেরও। অনেকেই শেষ মুহূর্তে হোটেল বুকিং বাতিল করছেন বলেও খবর। এই অবস্থায় প্রশাসনই ভরসা, বলছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।