নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। তারপরেই পুজো। কিন্তু পুজোর আমেজে কি ভাটা পড়েছে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে? না একেবারেই এমনটা নয়, শুক্রবার তার আভাস পাওয়া গেল। এ দিনের ঘোষণা, স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতের মতোই দেবীপক্ষের সূচনার আগের রাতে ফের পথে নামবে (RG Kar protest) শহরবাসী ও জুনিয়র ডাক্তাররা। আর তাঁদের পাশে থাকবেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীরাও।
এ প্রসঙ্গে শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, ”প্রথমে মা, পরে বাবার জন্য তর্পণ করছি গত কয়েক বছর। তর্পণ মানে আমার কাছে পূর্বসূরিদের স্মরণ করার দিন। একই সঙ্গে দেবীপক্ষের সূচনা মানেই অশুভের বিনাশ, শুভের প্রতিষ্ঠা। সেই জায়গা থেকে চাইছি, এ বারের দেবীপক্ষ যেন নির্যাতিতার জন্য ন্যায় নিয়ে আসে। এ বছরের পুজো অন্য রকম। মন থেকে কোনও কিছুতেই উৎসাহ পাচ্ছি না। তবে রাত দখলে (RG Kar protest) পথে নামার ইচ্ছে রয়েছে।”
অন্যদিকে আরজি কর-কাণ্ডের শুরু থেকে সরব রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘ছোট থেকে মহালয়ায় রাত আর রেডিয়ো দখল করতাম। শেষে ভোর দখল করে শান্ত হতাম বীরেন্দ্রকৃষ্ণের গলা পেয়ে। সেই অনুভূতি থেকে বলছি, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোজ দিন-রাত দখল করা উচিত প্রত্যেকের। সঠিক তদন্তে ন্যায়বিচার আসুক। দোষীরা দ্রুত শাস্তি পাক, অন্তর থেকে চাইছি।’
প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছে পায়েল-লহমার কাছে। পায়েল জানিয়েছেন, কেউ যে নির্যাতিতাকে ভোলেননি তার প্রমাণ মহালয়ার আগের রাতের পথ দখল (RG Kar protest)। তিনি এর প্রয়োজনীয়তা দেখছেন। অন্যদিকে কৌশানী জানিয়েছেন, ‘ব্যস্ততার কারণে আগের বার পথে নামতে পারিনি। কিন্তু প্রত্যেক মুহূর্তে নির্যাতিতার পাশে রয়েছি। উনি ন্যায় পান, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি। সেই জায়গা থেকেই বলছি, এই ধরনের কর্মসূচির প্রয়োজন। শহরবাসী কাজে থাকুন, পুজোয় থাকুন। পাশাপাশি, প্রতিবাদেও পাশে থাকুন। যাতে অন্যায়ের বিনাশ হয়ে দেবীপক্ষে ন্যায় আসে।’
জানা গিয়েছে, এই রাত দখলে (RG Kar protest) সাধারন মানুষের পাশাপাশি পথে নামবেন জুনিয়র ডাক্তারাও। ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের তরফে মহালয়ার ভোর ও অষ্টমীর রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। আগের মতোই এবারও যাতে সবমহলের মানুষ এই ডাকে সাড়া দেন সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।