নিউজ ডেস্ক: পুজোর মরসুম তো চলেই এল। তাহলে আর দেড়ি কেন, বেড়িয়ে পড়ুন উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের কোলের এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে। খরচের কথা ভাবছেন নিশ্চয়ই, তাহলে জানাই খুবই কম খরচে মন ভালো করা ডুয়ার্সের কাছের এই জায়গাটিতে একবার গেলে বারবার মন করবে যাওয়ার। বলছি জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সংলগ্ন আনন্দমঠের কথা (Eco Tourism Hub)। এখানে এলেই পেয়ে যাবেন তিস্তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঘন জঙ্গলের রোমাঞ্চ, গা ছমছমে ঐতিহাসিক কাহিনী, ঐতিহ্য আর ঐতিহাসিক গল্পের ছোঁয়া।
আর ঘুরতে যাওয়া মানে সুন্দর পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি পেট পুরে খাওয়া দাওয়া। অল্প খরচের মধ্যে জঙ্গল, তিস্তার প্রাকৃতিক হাওয়া এবং গ্রাম্য খাওয়া-দাওয়া পেতে হলে পুজোর চারটে দিন এখানে রাত কাটাতে পারেন। সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে হাজার কৌতূহল। এমন রোমাঞ্চকর জায়গায় রাত্রিযাপন মানেই আপনার পুজোটা ভালই কাটবে।
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে জন প্রতি মাত্র ১০০ টাকা খরচে পৌঁছে যেতে পারবেন এই গন্তব্যস্থলে (Eco Tourism Hub)। গ্রাম্য পরিবেশের অনুভূতির সঙ্গে থাকবে গ্রাম্য খাওয়া দাওয়া। আর পার্শ্ববর্তী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘুরে দেখতে পারেন ভোরের আলো, বোদাগঞ্জের ভ্রামরী দেবী মন্দির, বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল।
সম্প্রতি, উদ্বোধন হয়েছে এই আনন্দমঠ ইকো পর্যটন হাবের। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া নতুন বস গ্রামপঞ্চায়েতের গৌড়ি কোন এলাকায় তৈরি করা হয় হাব। এমনিতেই উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক শোভার টানে সাড়া বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। সেই শিল্পে বাড়তি অক্সিজেন দিতে সরকারি খরচে তৈরি হয়েছে এই ইকো টুরিজম হাব (Eco Tourism Hub)। মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই এই হাব গড়ে তোলা হয়েছে। এই পর্যটন হাবের পাশেই বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গলে (Jalpaiguri Boikunthopur Forest) রয়েছে শিকারপুরের ভবানীপাঠক-দেবীচৌধুরানী মন্দির। কথিত আছে এই মন্দিরে পুজো দিয়ে ডাকাতিতে যেতেন দেবীচৌধুরানী। শুধু তাই নয় তিস্তা পারের গৌড়িকোনে ওই জায়গায় প্রতি শীতেই পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায়। রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন গৌড়িকোন মন্দির। আবার ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে রয়েছে সতী পিঠের একপিঠ ভামরী দেবীর মন্দির।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে এই হাব তৈরি হয়েছে। আপাতত এই হাবে থাকছে তিনটি কটেজ। পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে আগামিদিনে এখানে আরও ৩০টির বেশি কটেজ তৈরি হবে।