নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। শেষ পিতৃপক্ষ। সূচনা হবে দেবীপক্ষের। ২ অক্টোবর। প্রতি বছর এই দিনটায় ভোরবেলা মহিষাসুরমর্দিনী শোনার অপেক্ষায় থাকেন সবাই। সেই ট্রেডিশনে এখনও ভাটা পড়েনি। তবে নতুন প্রজন্ম মহিষাসুরমর্দিনী রেডিয়োয় শোনার পরিবর্তে আজকাল টেলিভিশনে দেখে বেশি। তবে এবছর নায়িকারা অতীত। সান বাংলায় এবার দুর্গা হচ্ছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার পায়েল বসাক।
তাঁদের পরিচিতি একেবারে নতুন প্রজন্মের মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়া। ইউটিউব চ্যানেল থেকেই প্রথম পরিচিতি পাওয়া শুরু তাঁদের। আর সেই পরিচিতিই এনে দিল, বড় সুযোগ। আধুনিক থেকে শুরু করে আঞ্চলিক, ধ্রুপদী, সমস্ত নাচের ছন্দেই যাঁর অবাধ যাতায়াত, তিনিই এবার জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অনুষ্ঠানের মুখ। পায়েল বসাক ও দ্বৈপায়ন চৌধুরী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় মুখ। তাঁদের ময়ূরের মতো নাচের ছন্দে যেন নেশা লাগে দর্শকদের চোখে। আর সেই পায়েলই এবার ‘সান বাংলা’-র দুর্গা।
এ প্রসঙ্গে পায়েল বলেছেন, ”এমন একটা চ্যানেলে এই সুযোগ পাওয়াটাই আমার কাছে খুব বড় ব্যাপার ছিল। সান বাংলার কাছে কৃতজ্ঞ। মা দুর্গা শক্তির রূপ। এই চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা আমার কাছে খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক দিন ধরে এই চরিত্রের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। প্রথমে নার্ভাস লাগলেও ফ্লোরে গিয়ে মনে হয় দেবী মা-ই আমায় দিয়ে সব কিছু করিয়ে নিচ্ছে। মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া এটা সম্ভব হত না। আশা করছি দর্শকের ভাল লাগবে আমাদের এই প্রচেষ্টা।”
ফলে অন্যান্য স্যাটেলাইট চ্যানেলে যখন দুর্গা হিসেবে দেখা যাবে জনপ্রিয় নায়িকাদের.. সেই যুদ্ধে এবার পায়েলের হাতেখড়ি। কী হবে তাঁর ইউএসপি? নৃত্যশিল্পী বলছেন, ‘সবাই সবার মতো করে মহিষাসুরমর্দিনীতে অভিনয় করেন। তাঁরা আমার থেকে অনের দক্ষ। অনেক বছর ধরে অভিনয় করছেন। আমি হয়তো তাঁদের কাছে কিছুই নয়। তাই প্রতিযোগিতা হিসেবে ভাবছিই না জিনিসটা। নিজের প্রাণ ঢেলে অভিনয় করেছি। সুযোগ এসেছিল তাই করতে পেরেছি। দর্শকদের ভাল লাগলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক।’