নিউজ ডেস্ক: আট বছর পর আবার বন্ধ পাহাড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই সোমবার ১২ ঘণ্টার জন্য পাহাড়ে বন্ধের (Strike In Darjeeling) ডাক দিল চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। পুজোর আগে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে বন্ধ ডেকেছে তারা। ফলে পুজোর মুখে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে মহা ভোগান্তিতে পর্যটকরা। পাহাড়ে ওঠা নামার সমস্ত রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছেন বনধ সমর্থকরা। রোহিনীতে গেট আটকে পিকেটিং করছেন বনধ সমর্থকরা। আটকে গিয়েছে সমস্ত গাড়ি। আটকে পর্যটকরা।
এদিন বনধ (Strike In Darjeeling) হঠাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বনধ সমর্থকদের। পাহাড়ে ওঠার রাস্তা রোহিনী থেকে শুরু হয়, সেই রাস্তা বন্ধ। আটটি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী (Strike In Darjeeling) নেতা বলছেন, “তরাই-ডুয়ার্সে ২০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ে এখনও হয়নি। আমরা রবিবারও মিটিংয়ে বসেছিলাম। কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আটটা শ্রমিক সংগঠন মিলে বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুঝতে পারছি পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই।”
এই বিষয়ে বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর সম্পাদক ও দার্জিলিং জেলা সিপিএমের নেতা সমন পাঠক বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। আর এই দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার পাহাড়ে বন্ধ ডাকা হয়েছে।’’
অন্যদিকে আবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই উত্তরকন্যায় বৈঠক করেছেন। সেখানেই উত্তরবঙ্গ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ‘ম্যান মেড বন্যার’ তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন। ডিভিসি-কে দুষে প্রধানমন্ত্রীকে দুবার চিঠিও দিয়েছেন। আর এদিন উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আরও একবার কেন্দ্রকে দুষে বললেন, “দক্ষিণবঙ্গ ডিভিসি-র জলে যেমন ভেসেছে, উত্তরবঙ্গে নেপাল থেকে কোশী নদীর জল ছেড়েছে। ৫ লক্ষ কিউসেক টন জল ছেড়েছে। ওই জল বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকছে।” এরপর উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিনি বলেন “একদিকে সঙ্কোচ নদীর জলে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বিধ্বস্ত, অন্যদিকে, নেপালের জল বিহার হয়ে ঢুকছে, ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।”